নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) কোম্পানির শেয়ারদর নির্ধারণে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এজন্য ইস্যুয়ার কোম্পানির প্রস্তাবিত শেয়ারদরের সপক্ষে দেয়া যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
১৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এ চিঠি কমিশনে পাঠানোর পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন ও যৌক্তিকতার চেয়ে বেশি প্রিমিয়াম দেয়ার বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারদর নির্ধারণ-সংক্রান্ত কমিশনের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিতে ওই চিঠি দেয়া হয়। অবশ্য আইপিও নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা পাইয়ে দিতে হ্রাসকৃত মূল্যে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক রয়েছে অভিহিত দরে বিভিন্ন কোম্পানির আইপিও অনুমোদন নিয়ে। আইপিও অনুমোদনের পর বিভিন্ন তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ইস্যুয়ার কোম্পানি ও ইস্যু ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এমনকি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০০৬ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন।
এদিকে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এ ধরনের চিঠি জনসম্মুখে প্রকাশ করায় বিব্রত বোধ করছেন বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
শেয়ারের প্রিমিয়াম নির্ধারণের ইস্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০০৬-এর অনুসারে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে একাধিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি উল্লেখ রয়েছে। ওই পদ্ধতিগুলোর সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবহৃত উপাত্তের নির্ভুলতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা আবশ্যক বলে মনে করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/এলকে