প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পেয়েছে ইফাদ অটোস লিমিটেড। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫২৭তম সভায় প্রতিষ্ঠানটিকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
আগামী ২৩, রবিবার থেকে ২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওর আবেদনপত্র জমা দানের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ থাকবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নতুন ও পুরাতন উভয় পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি আইপিও টাকা উত্তোলন করবে বলে জানানো হয়।
ইফাদ অটোস পুঁজিবাজার থেকে ২ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ছেড়ে ৬৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে। পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহিত অর্থ দিয়ে কোম্পানির এসেম্বিং প্লান্ট, গাড়ির বডি বিল্ডিং ইউনিট নির্মাণ এবং প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা হবে।
ইফাদ গ্রুপের ইফাদসহ রয়েছে মোট ৮টি প্রতিষ্টান। এরমধ্যে ৬টি কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বেশ ভালেভাবেই পরিচালনা করেছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইফাদ অটোস লিমিটেড, ইফাদ এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, ইফাদ অটোমোবাইলস লিমিটেড, ইফাদ এগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেড, ইফাদ মাল্টি প্রডাক্টস লিমিটেড ও ইফাদ মাল্টি এন্ড ক্যামিকেলস লিমিটেড।
ইফাদ গ্রুপের ইফাদ অটোসের শেয়ারপ্রতি ফেস ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। এর সঙ্গে বাড়তি ২০ টাকা প্রিমিয়াম মিলে শেয়ারপ্রতি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। কোম্পানিটির ২০১২ সালে ইপিএস ছিল ২.৯৬ টাকা। ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২.৯৮ টাকা এবং এরপরে ২০১৪ সালে ইপএিস প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৫.১৬ টাকায় দাঁড়ায়।
কোম্পানির আল আরাফা ব্যাংকে এখন পর্যন্ত কোম্পানির সর্বোচ্চ ঋণ রয়েছে ১০৭ কোটি টাকা। গত বছরের আমাদের বার্ষিক বিক্রয় হয়েছে প্রায় ৮১৫ কোটি টাকা। তবে গত বছরগুলোতে গড় বিক্রয়ের পরিমাণ ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে হয়েছিল।
২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইফাদ অটোসের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১৬ পয়সা। নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) হয়েছে ৪৪ টাকা ১২ পয়সা।
কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ব্যানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে