উৎপাদন ক্ষমতা পুরোপুরি কাজে না লাগানোর কারণে ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের ইমাম বাটন। বর্তমানে এ কোম্পানির পরিচালন ক্ষতি ১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪২ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে উৎপাদন ক্ষমতা না বাড়ালে কোম্পানিটি বেশিদিন টিকতে পারবে না বলে ২০১৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ইমাম বাটনের নিরীক্ষক আনিসুর রহমান অ্যান্ড কোং।
নিরীক্ষকের মতে, ইমাম বাটন মোট উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ২১ শতাংশ কাজে লাগিয়েছে। কলকব্জা সমস্যা, চাহিদাজনিত সমস্যা, বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা এবং বিদ্যমান জেনারেটরের প্রায়শ বিকল হওয়ার কারণে কোম্পানির উৎপাদন কমেছে। প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে এ কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা ৭০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
আলোচ্য বছরে কাঁচামালের উচ্চ মূল্য, বৈশ্বিক মন্দা, বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যা, বিদ্যমান জেনারেটর বিকল হওয়া, কলকব্জার সমস্যার কারণে কোম্পানির পরিচালন ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪২ টাকা।
কোম্পানি যদি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য অবকাঠামো ও পরিচালনা-সংক্রান্ত বাধাসমূহ দূর করতে না পারে এবং পরিচালন ও অর্থায়ন-সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নতি করতে না পারে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির ‘গোইং কনসারন’ (ভবিষ্যৎ) স্টেটাস হুমকির সম্মুখীন হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ/সি