স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেনের নতুন কমিশন হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে ব্লক ট্রেড, ফ্লোর ক্রসিং এবং ডিভিপি বা ডেলিভারী ভার্সেস পেমেন্ট ট্রেডের জন্য প্রতি ট্রেড ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশী হলে ট্রানজেকশন ফি হবে ট্রেডেড ভ্যালুর ০.০১২৫ শতাংশ। অন্য ট্রেডের জন্য ট্রানজেকশন ফি হবে ট্রেডেড ভ্যালুর ০.০২৫ শতাংশ। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগে নতুন সফটওয়্যার চালুর চতুর্থ দিনে চূড়ান্ত হয়েছিল লাগা চার্জ। ওই সময় এটি ছিল ০.০৩০ শতাংশ। একই সঙ্গে বলা হয়েছিল এটি আগামী তিন মাস পর পুন:নির্ধারণ করা হবে। তিন মাস পর না হতেই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে নতুন কমিশন হার নির্ধারণ করল ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ। ডিএসই’র ৭৮৯তম সভায় কমিশন কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন সফটওয়্যারের কারণে ১টি করেও শেয়ার কেনা-বেচা করা যায়। কিন্তু এর জন্যও আগের বেঁধে দেওয়া হারে হাওলা ও লাগা চার্জ পরিশোধ করতে হয়। এটি ব্রোকারহাউজের জন্য বাড়তি চাপ ছিল। হাওলা চার্জ উঠানোর মাধ্যমে স্বস্তি পেল তারা।
কমিশন হার নিয়ে ডিএসই’র পরিচালক মো: শাকিল রিজভী বলেন, ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের দাবীর প্রক্ষিতে পরিচালনা পর্ষদ কমিশন হার কিছুটা কমিয়েছে। এখন থেকে ব্লক ট্রেড, ফ্লোর ক্রসিং এবং ডিভিপি বা ডেলিভারী ভাসের্স পেমেন্ট ট্রেডের জন্য প্রতি ট্রেড ৫০ লক্ষ টাকা বা তার বেশী হলে ট্রানজেকশন ফি হবে ট্রেডেড ভ্যালুর ০.০১২৫ শতাংশ। অন্যান্য ট্রেডের জন্য ট্রানজেকশন ফি হবে ট্রেডেড ভ্যালুর ০.০২৫ শতাংশ।
উল্লেখ, হাওলা হচ্ছে প্রতিটি নিষ্পন্ন লেনদেন। একটি শেয়ারের জন্য এ লেনদেন হতে পারে, আবার একটি লেনদেনের মাধ্যমে হাজারের বেশি সংখ্যক শেয়ারও কেনা-বেচা হতে পারে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম//এম/এএআর