বছরে ডিএসই-৩০ সূচক ৪৮৪.২৪ বেড়েছে

DSE30নিজস্ব প্রতিবেদক :

গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে প্রায় ৪৮৪.২৪ পয়েন্ট। যা বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের তুলনায় ডিএসই৩০ ইনডেক্সে থাকা অধিকাংশ কোম্পানিরই দর বেড়েছে। ৩০ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির এবং কমেছে ১২টির। ২০১৩ সালে ডিএসই৩০ সূচক ছিল প্রায় ১ হাজার ৪৩৩.৮৫ পয়েন্ট, চলতি বছরে যা এসে দাঁড়িয়েছে     ১ হাজার ৯১৮.০৯ পয়েন্টে।

জানা যায়, গত বছরের এক সময়ের তুলনায় এসিআই-এর শেয়ার দর ২৪৯.২ টাকা, বিএটিবিসির ১ হাজার ১২৪.৫ টাকা, বেক্সিমকো ১০ টাকা, বিএসআরএম ২৯.৯ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মা ১৯.১ টাকা, গ্রামীণফোনের ১৬৪.১ টাকা, হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ১০৭.৭ টাকা, যমুনা অয়েল ১৫.৫ টাকা, লাফার্জ সুরমার ৯৭.৫ টাকা, ন্যাশনাল লাইফ ৫.৬ টাকা, এনবিএল ০.৯ টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৫৫.৬ টাকা, পদ্মা অয়েল ১৯.৫ টাকা, রেনেটা ২৮৪.৯ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ৯৪.৩ টাকা, সামিট পাওয়ার ১১.৩ টাকা, তিতাস গ্যাস ৭.৮ টাকা এবং ইউসিবিএলের ৬.৯ টাকা বেড়েছে।

অন্যদিকে, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় শেয়ার দর কমেছে আফতাব অটোমোবাইলসের ২৩.৭ টাকা, বিএসসিসিএল ৩৬.৬ টাকা, ডেল্টা লাইফ ৬৮.১ টাকা, ডেসকো ৫.৯ টাকা, ইসলামী ব্যাংক ৯.৯ টাকা, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স ৯.৪ টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ৯.১ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ০.২ টাকা, পাওয়ারগ্রিড ২.৪ টাকা, প্রাইম ব্যাংক ২.২ টাকা, পূবালী ব্যাংক ৪.৪ টাকা এবং ইউনিক হোটেলের ৮.৮ টাকা।

শেয়ারপ্রতি আয়, মার্কেট ক্যাপ, সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা শেয়ার, ডিভিডেন্ড মোট ট্রেডিং এবং রেটিংয়ের ভিত্তিতে যেসব কোম্পানি প্রথম ৩০টির মধ্যে রয়েছে শুধু সেসব কোম্পানিকে ডিএসই৩০ ইনডেক্স-এ নেয়া হয়।

এ তালিকা মাঝেমধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে মানের বিচারে। কোনো কোম্পানি ডিএসই৩০-এ থাকা কোনো কোম্পানির তুলনায় উপরোক্ত মানদণ্ডের বিচারে এগিয়ে তাহলে ওই কোম্পানিটিকে ডিএসই৩০- অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর ডিএসই৩০ থাকা যে কোম্পানিটি মানদণ্ডের বিচারে পিছিয়ে থাকবে তাকে ডিএসই৩০ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।

বাজার-সংশ্লিষ্টদের মতে, ডিএসই-৩০ কোম্পানিগুলোর দরের ওপর ভিত্তি করে সূচক বাড়লে তা বাজারের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে। কারণ এই ইনডেক্সে-এ যেসব কোম্পানি রয়েছে তা মানদণ্ড অনুযায়ী এগিয়ে। যদি এসব কোম্পানির ওপর ভিত্তি না করে শুধু দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে সূচক বাড়ে তবে তা ক্ষণস্থায়ী।

তাই বিনিয়োগের পূর্বে ডিএসই৩০-কে গুরুত্ব দেয়া হলে বিনিয়োগে ঝুঁকি কমতে পারে। কারণ এই তালিকায় থাকা কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির সম্ভাবনা কম থাকে বলে বিনিয়োগকারীদের ধারণা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এইচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *