মেয়াদিত্তীর্ণ এমডি দিয়ে চলছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ

suridনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত  সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহেদুল হক মেয়াদ না থাকলেও স্বপদে বহাল রয়েছেন। আসন্ন এজিএমে বিষয়টি উত্থাপিত করে বিনিয়োগকারীদের মতামত নেয়া হবে বলে কোম্পানিটি দাবি করলেও এমডির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে মো. জাহেদুল হক অবৈধভাবে মেয়াদিত্তীর্ণ পদে বহাল রয়েছেন। কোম্পানি আইনের ১১০(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদের মেয়াদ পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হলে বোর্ডসভায় সম্মতি নিয়ে আবারো দায়িত্ব পালন করা যেতে পারে। তবে বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের সম্মাত ছাড়াই টানা ১০ বছর ধরে পদে বহাল আছেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুহৃদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মো. জাহেদুল হকের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

অবৈধভাবে পদে বহাল থাকার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠায়। কোম্পানি সচিব এস কে সাহা ২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিনের কাছে সুহূদের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে জাহেদুল হকের বহাল থাকা বৈধ কিনা, সে বিষয়ে আইনগত পরামর্শ চান।

গত ১৮ অক্টোবর আইনি পরামর্শে দায়িত্ব পালন দণ্ডনীয় বলে জানান এ আইনজীবী। তিনি জানান, এক্ষেত্রে এজিএমের মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি নেয়া গেলে আইনি বাধা থাকবে না।

এ বিষয়ে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ মঞ্জুর আহমেদ বলেন, আইন অনুযায়ী একটি কোম্পানির এমডির মেয়াদ শুরু ও শেষ হয় বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) মাধ্যমে। যদি কোনো পদের মেয়াদ শেষ হয়, তবে সেক্ষেত্রে শেয়ারহোল্ডার ও পরিচালকদের সম্মতি ছাড়া পদে অধিষ্ঠিত থাকা আইনত দণ্ডনীয়। এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আইন অনুযায়ী আইন লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনতে পারে।

তবে ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কোম্পানিটির এজিএমে বিষয়টি উত্থাপিত করে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়া হবে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, কোম্পানির আইন অবমাননার বিষয়গুলো নজরদারির জন্য কমিশনের সিজিএফআরসি নামে একটি আলাদা বিভাগ রয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যদি কোনো কোম্পানির পরিচালক তার পদে অধীষ্ঠ থাকেন, তবে সেক্ষত্রে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর শেয়ারবাজার থেকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে শেয়ার ছেড়ে ১৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে প্রকৌশল খাতের এ কোম্পানি। ২০০৮ সালের মে মাসে সুহূদ ইন্ডাস্ট্রিজ বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে। আর ২০১০ সালে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কোম্পানিটি ২৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূলধন বৃদ্ধি করে। সে সময়ে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়ায় ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *