আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে চায় রবি‌‍‌

robiনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় আগামী ২০১৬ সালের আগে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ায় আসতে চায় না বেসরকারি টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি। তাই শিগগিরই আইপিওতে না আসার জন্য শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) মূলতবির সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে টেলিকম খাতের এ কোম্পানি।

গত ২৯ ডিসেম্বর রবির প্রধান অর্থ কর্মকতা (সিএফও) ইয়াপ ওয়াই ইয়েপ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিএসইকে জানানো হয়েছে, রবির বর্তমান পরিস্থিতি আইপিওতে শেয়ার ছাড়ার পক্ষে সহায়ক নয়। তাই আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো উচিত।

এর আগে রবির আইপিও প্রক্রিয়া মুলতবির জন্য সাধুবাদ জানিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি রবি তৃতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স বা থ্রি জির লাইসেন্স পেয়েছে। এখন দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে এই সেবা প্রদানের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নতুন করে তরঙ্গ বরাদ্দের উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি যে, ২০১৫ সালে বরাদ্দকৃত এই তরঙ্গ আমাদের জন্য অনুকূল কিনা? কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিম প্রতিস্থাপনের দাবি, যা এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে, বিশেষ করে রবির ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে বিঘ্নিত করবে।

কমিশনও লক্ষ্য করেছে যদিও ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশ থাকে তবুও আইপিওতে আসার পক্ষে কোম্পানিগুলোর পক্ষে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রণোদনা থাকছে না। কারণ, বিদ্যমান কর আইনে বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি কর দিচ্ছে, যা এখন রয়েছে মোট ৪৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, তামাকজাত পণ্যের কোম্পানিগুলোও একই হারে কর প্রদান করছে। তামাক কোম্পানিগুলো সাধারণত সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যে উৎপাদন করে থাকে যা, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অপরপক্ষে, টেলিযোগাযোগ খাতের কোম্পানিগুলো দেশ গঠনে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করছে। তবুও কোম্পানিগুলোকে সমহারে কর দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রবি অর্থমন্ত্রীর কাছে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার ছাড়া না ছাড়ার কথা জানিয়েছিল।

এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই আইপিও মুলতবির সিদ্ধান্ত বৃহত্তর বাজারের অবিশ্বাস ও আর্থিক বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করবে। এই পরিস্থিতিতে রবি আবারও নিজেদের অঙ্গীকার পুনরাবৃত্তি করছে যে, আগামীতে আরো ভাল প্রবৃদ্ধি অর্জন করে কোম্পানিটি বাজারে আইপিওয়ের মাধ্যমে শেয়ার ছাড়বে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি রবির বাজারে শেয়ার ছাড়ার মতো উপযুক্ত নয়। তাই আগামী ২০১৬ সাল পর্যন্ত আইপিও পক্রিয়া মুলতবি করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *