২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

mofizস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ বিলিয়ন (পাঁচ হাজার ৪শ কোটি) মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে ৪৫.৫০ বিলিয়ন ও সেবা রপ্তানিতে ৮.৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এছাড়া পণ্যে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২.২৫ শতাংশ, আর সেবায় ৩৪.১০ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসেবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

বুধবার (০৭ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এ তথ্য জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান প্রমুখ।

মফিজুল ইসলাম বলেন, এবছর ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত বছর পণ্য ও সেবা খাতে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে পণ্য রপ্তানিতে ছিলো ৩৯ বিলিয়ন ও সেবা রফতানিতে ৫ বিলিয়ন ডলার।

তবে গত অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৪৬.৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে হিসেবে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি অর্জন করেছি। গত অর্থবছর পণ্য খাতে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ১০.৫৫ ভাগ এবং সেবা খাতে ৪৬.০৬ ভাগ। মোট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৩০ ভাগ।

নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার বিষয়ে আপনারা কতটুকু আত্ববিশ্বাসী এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি আত্ববিশ্বাসী। কারণ আমরা গতবছর যে পরিমাণ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্র ছিল তার চেয়ে বেশি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ দিন দিন বাড়ছে। ফলে আমরা আশাবাদী এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে টেক্সটাইল পণ্য, পাট, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, কৃষি পণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, প্লাস্টিক এবং সিরামিক। মোট টার্গেটের মধ্যে আরএমজি ৩৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, হোম টেক্সটাইল দশমিক ৮৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্যে দশমিক ৮২৪, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফার্মাসিউটিক্যালসে দশমিক ১৬৯ বিলিয়ন, কৃষি পণ্যে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন, এনার্জি পণ্যে দশমিক ৩৬৯ বিলিয়ন, ফ্রোজেন ও মাছে দশমিক ৫২০ বিলিয়ন, প্লাস্টিক পণ্যে দশমিক ১৫০ বিলিয়ন এবং সিরামিক পণ্যে দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *