আইপিওর নতুন আইনে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রাতিষ্ঠানিক কোটা কমানো আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে কয়েকশ’ বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করেন। গতকাল একই দাবিতে বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন জানান তারা।
সমাবেশে বিনিয়োগকারীরা বলেন, প্রস্তাবিত আইনে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য মাত্র ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি ৭০ শতাংশ কোটা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয়েছে। আগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল। এখন এটি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
গত ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস-২০১৫ এর খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। জনমত যাচাইয়ে পাবলিক ইস্যু রুলের খসড়া প্রস্তাবটি বিএসইসির ওয়েবাসইটে প্রকাশ করা হয়েছে। রুলের বিষয়ে মতামত দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ ২৩ ডিসেম্বর।
খসড়া প্রস্তাবে আইপিওতে প্রিমিয়ামের জন্য বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এবং অভিহিত মূল্যের জন্য ফিক্সড প্রাইস মেথডে আবেদনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং ফিক্সড প্রাইস মেথডে ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আন্দোলনরত বিনিয়োগকারী পিন্স মাহমুদ স্টকমার্কেটবিডিকে বলেন, পাবলিক শেয়ার ছাড়ার কথা বলে কোম্পানিগুলো প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্যই আইপিও অনুমোদন। সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রবাসীদের মাত্র ৩০ শতাংশ কোট গ্রহণেযাগ্য নহে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এলকে