আইপিও নিয়ে গণশুনানি : হাউজের কোটা কমানোর দাবি বিনিয়োগকারীদের

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সাবস্ক্রিপশন পদ্ধতি নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই শুনানিতে ব্রোকার হাউজদের জন্য বরাদ্দ আইপিও কোটা কমানোর দাবি জানিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীদের দাবি, আইপিওতে প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকার হাউজদের জন্য কোটা অনেক বেশি। এজন্য সাধারণ বিনিয়োগকারী আইপিও শেয়ার পাচ্ছে না। এ অবস্থা শেয়ারবাজারের জন্য হুমকি হতে পারে। এজন্য এই কোটা কমিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা কমানো হোক।

আগামীকাল সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি গণশুনানি শুরু হয়ে শেষ হবে। এই শুনানীতে কি চাওয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন বলেন, চলমান আইপিও আইনে প্রচলিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিং পদ্ধতি বাতিল করা উচিত। বিডিংয়ে আমরা ইস্যুয়ার ও ইস্যু ম্যানেজারদের কারসাজির অভিযোগ পাচ্ছি। তাই আগের নিয়মে বিএসইসি নির্ধারিত প্রিমিয়ামে কোম্পানিগুলোকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হোক।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকার হাউজগুলো কোটার মাধ্যমে আইপিও শেয়ারের সিংহভাগ নিয়ে যাচ্ছে। এই কোটা কমিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাড়ানো উচিত।

এবিষযে একাধিক বিনিয়োগকারী সিদ্দিকুর রহমান প্রিন্স স্টকমার্কেটবিডিকে বলেন, আইপিওতে হাউজগুলোর কোটা নিয়ে আমরা অসহায়ের মধ্যে পড়েছি। লটারিতে আইপিও শেয়ার না পেয়ে অনেকেই বিও হিসাব বন্ধ করে দিয়েছে। আগের নিয়মে আমরা যে হারে আইপিও পেতাম তা এখন অনেক কমে গেছে। অনেকে আইপিও বিওগুলো বন্ধ করে সেকেন্ডারি বাজারে ব্যবসা করছে।

এসময়ে একাধিক বিনিয়োগকারী চলমান বুক বিল্ডিং পদ্ধতির পরিবর্তন দাবি করেন। তারা বলেন, আমরা সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বুক বিল্ডিংয়ে বিডিং চাই না। শেয়ারবাজার থেকে এই বুক বিল্ডিংয়ের বিডিং নিয়ম তুলে দিয়ে আগের নিয়মেই আইপিও চালু রাখা হোক।

আগামীকাল বেলা পাঁচটায় গণশুনানির উদ্বোধন করবেন বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখবেন কমিশনার আব্দুল হালিম।

উল্লেখ্য, বর্তমান আইনে আইপিও কোম্পানির টাকা ব্রোকার হাউজে জমা দেওয়া নিয়েও অনেক বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিংয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কারসাজি করছে কিনা সেটাও পর্যবেক্ষণ করছে খোদ বিএসইসি।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *