চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার কারণে বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নের সিনিয়র প্রফেসার ও অস্ট্রেলিয়ার ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ইউলিয়াম আর্মস্টাইনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের চাল প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে আছে। ফলে আমাদের আফ্রিকান দেশগুলোতে চাল রপ্তানি করতে হবে। সেখানেও একটু সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যারা পুরান থাইল্যান্ড, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম তাদেরই সমস্যা হচ্ছে চাল রপ্তানিতে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে না থাকায় ভালো সাড়া পাচ্ছি না। তবে চেষ্টা করছি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে না থাকায় ভালো সাড়া পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া প্রধান লক্ষ্য ছিল। ধান আমাদের মূল খাদ্য শস্য। কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। এটা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। চাষিরাও বিক্ষুব্ধ।
তিনি বলেন, ফেলন ডাল দেশের মানুষ গ্রহণ করেছে। এখন এ ডালের উন্নত জাত দিতে চাই। এজন্যই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা এসেছে। তারা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের ৩০ কোটি টাকা দিচ্ছে ডালের জাত উন্নয়নের জন্য।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি নেপালে আমরা ভুট্টা রপ্তানি করেছি। ফলে ভুট্টার দাম একটু বেড়ে গেছে। আমাদের দক্ষিণ এলাকায়ও ভুট্টা উৎপাদনের উপযোগী স্থান। যেমন আগে ভুট্টা হতো ১৩ লাখ টন বর্তমানে ৪৬ লাখ টন হচ্ছে। এগুলো ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মে ও পশ খাদ্য হিসেবে। আমরা উৎপাদন বাড়িয়েছি। এখন অনেকটা ভুট্টায় স্বংয়সম্পূর্ণ। বর্তমানে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৬০ লাখ টন। আমাদের মাত্র ১২ লাখ টন আমদানি করতে হয়।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/আর