ইউবিএসপি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল আবেদনের সময়সীমা ১৯ অক্টোবর

bbনিজস্ব প্রতিবেদক :

পোশাক কারখানার ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের সহায়তার লক্ষ্যে আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট (ইউবিএসপি) শীর্ষক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে গ্রাহকদের ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

সোমবার (২৬) বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলা এবং চট্টগ্রাম সিটির তৈরি পোশাক কারখানার ভবন নিরাপদ করতে ‘আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট’-এ স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

কারিগরি সহায়তা উপাদানসহ প্রকল্পের তহবিলের মোট আকার ৪২৪ কোটি জাপানি ইয়েন। আর ঋণ তহবিলের আকার ৪১২ কোটি ৯০ লাখ জাপানি ইয়েন। প্রতি ইয়েন ৭২ পয়সা ধরলে বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

পোশাক কারখানার ভবন পুনর্নির্মাণ, স্থানান্তর, রেট্রোফিটিং, চলতি মূলধন এবং অগ্নি নিরাপত্তার জন্য তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হবে। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ-এর সদস্য, তৈরি পোশাক খাতের এমন ভবন মালিক অথবা কারখানা মালিকরা এ ঋণ সুবিধা পাবেন। ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে কমপক্ষে ৩ বছর কার্যক্রম চালানো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করার যোগ্য হবে। তবে কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি হলে ওই ব্যাংক আবেদনের যোগ্য হবে না।

ওই নির্দেশনায় আরও জানানো হয়েছে, পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে সাব-লোন হিসেবে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাবেন। রেট্রোফিটিং এবং অগ্নি নিরাপত্তার বিপরীতে নেওয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ (অতিরিক্ত সময়) সর্বোচ্চ ১০ বছর। আর ভবন পুনর্নির্মাণ এবং স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ৩ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধের সময় ১৫ বছর।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণকালীন কাজ বন্ধ থাকা কারখানাগুলো পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে চলতি মূলধনের জন্য ঋণ সহায়তা পাবে। তবে এ ঋণ সহায়তা সাব-লোনের ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। অর্থাৎ চলতি মূলধন হিসেবে ঋণ সুবিধা পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *