ইমারত নির্মাণে নকশা অনুমোদনে অনলাইন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে : গণপূর্তমন্ত্রী

Rezaulস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

আগামী পহেলা মে থেকে ইমারত নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদনে অনলাইন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার সমন্বয়ে ‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেবা সহজীকরণ’ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন পদ্ধতি চালু হলে কাউকে দালালের কাছে যেতে হবে না। অন্যায় পথে কাউকে কনভিন্স করার চেষ্টা করা লাগবে না। আগামী ১ মে থেকে আর কোনো ম্যানুয়ালি নকশা অনুমোদন বা অন্য কোনো আবেদনের সুযোগ থাকবে না।’

তিনি বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী এখন থেকে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদনের জন্য সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিতরণকারী কর্তৃপক্ষ, গ্যাস সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ১৬টি সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। মাত্র চারটি সংস্থার অনাপত্তির ভিত্তিতে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন দেওয়া হবে।

ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য চারটি স্তর তুলে ধরে গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নিতে হবে। ভবনের উচ্চতার বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি নিতে হবে। তবে যেখানে বিমান চলাচল নেই, সেখানে অনাপত্তিপত্র আনতে যেতে হবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিশেষ বিশেষ এলাকা বা স্পর্শকাতর এলাকার পাশে কোনো ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর অনাপত্তি লাগবে। আর ১০তলা ভবনের ঊর্ধ্বে হলে ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি লাগবে। এছাড়া অন্য কোন কোনো কিছু প্রয়োজন নেই।’

রেজাউল করিম বলেন, একটা প্ল্যান পাসের জন্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আগে সর্বোচ্চ সময় লাগত ১৫০ দিন। এই ১৫০ দিন থেকে আমরা কমিয়ে ৫৩ দিনে নিয়ে আসছি। ঠিকমতো হলে ৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট পেয়ে যেতে পারবেন। আমরা সর্বোচ্চ সীমাটা করেছি ৫৩ দিন।

ইমারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা হলে যিনি ভবন নির্মাণের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনিও যেনতেন ভাবে করতে চাইবেন না। কারণ তিনি ভাববেন, এই ভবন ধসে গেলে আমার এতো টাকার ইন্স্যুরেন্সের টাকা দিতে হবে। অথবা কেউ যদি অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার শিকার হন, তার পরিবারও একটা নিশ্চয়তা পাবে। এই ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ তাকে দিতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ইন্স্যুরেন্স পদ্ধতি আছে।

মতবিনিময় সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার,বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ মন্ত্রণালয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সূত্র : বাসস

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *