ইস্যু মূল্যের নিচে আইসিবির ৪৬ ভাগ তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর

icb-2নিজস্ব প্রতিবেদক :

অনুমোদনের শর্ত হিসেবে শেয়ারবাজারে নতুন শেয়ার তালিকাভুক্তিতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে থাকে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। দেশের শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় মার্চেন্ট বলে পরিচিতি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ইস্যু ব্যবস্থাপনায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে।

২০১১ থেকে ২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট পর্যন্ত বাজারে আনা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার প্রতি আয় কমে এসেছে। একই সঙ্গে ৪৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। তবে একই সময়ে পুঁজিবাজারে সব থেকে বেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তি করেছে এই মার্চেন্ট ব্যাংক।

আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ইস্যু ব্যবস্থাপনায় শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানিগুলো হলো – বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, জিএসপি ফাইন্যান্স, এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিক, ওরিয়ন ফার্মা, হামিদ ফেব্রিকস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, সাইফ পাওয়ারটেক, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল ফিড মিল, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ও একমি ল্যাবরেটরিজ।

মার্চেন্ট ব্যাংকটির ইস্যুকৃত কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২টি কোম্পানি প্রিমিয়াম ছাড়া শুধু অভিহিত মূল্যে ও ১১টি কোম্পানি প্রিমিয়ামসহ শেয়ারবাজারে এসেছে। এর মধ্যে ২টি কোম্পানি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে এসেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৭ টাকা করে শেয়ার ইস্যু করেছে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসা একমি ল্যাবরেটরিজ। আর শুধু অভিহিত মূল্যে আসা কোম্পানি দুটি হচ্ছে – সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ন্যাশনাল ফিড মিলস। এর মধ্যে সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ এখন লোকসানে চলে গেছে। কোন লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় কোম্পানিটি এখন জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

দেখা গেছে, আইসিবি ক্যাপিটালের ১৩টির মধ্যে ৬ কোম্পানির শেয়ার দর ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ১টি কোম্পানির শেয়ার দর রয়েছে অভিহিত মূল্যের নিচে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর আর্থিক তথ্য মতে, আইপিও পূর্বের সাথে তালিকাভুক্তির পরের ইপিএসের তুলনা করার জন্য আইসিবি ক্যাপিটালের আনা ১৩টি কোম্পানির মধ্যে ১০টি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬টি কোম্পানির ইপিএস কমে গেছে। যার মধ্যে আবার ১টি কোম্পানি লোকসানের কবলে রয়েছে।

ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, কোন কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনার পরেই একটি ইস্যু ম্যানেজারের দায়বদ্ধতা শেষ হয়ে যেতে পারে না। একটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার পরে আয় কমে যাওয়া ও শেয়ার দর ইস্যু মূল্যের নিচে চলে যায়, তা হতে পারে না। এজন্য ইস্যু ম্যানেজারকেও দায়বদ্ধ করতে হবে।

একই সঙ্গে কোন ইস্যু ম্যানেজারের ইস্যুকে টাকা উত্তোলনের অনুমোদনের আগে পূর্বের ইস্যুগুলোর বর্তমান অবস্থাকে বিবেচনায় নেয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ইস্যু ম্যানেজারদের মূল্যায়নের জন্য পাবলিক ইস্যু রুলস-২০১৫ অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিগত ৫ বছরের ইস্যুকৃত কোম্পানির শেয়ার দর প্রসপেক্টাসে প্রকাশ করতে হয়। যা বিনিয়োগকারীদের কোন ইস্যু ম্যানেজার কেমন কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনে, তা বুঝতে সহযোগিতা করে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *