ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি

port-smbdস্টকমার্কেট ডেস্ক :

ঈদের ছুটিতে পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে এবং পরে তিনদিন সড়কে পণ্যবাহী যানচলাচল বন্ধ থাকায় এই জটের সৃষ্টি হয়।

ঈদের দিন বুধবার ১২ ঘণ্টার জন্য বন্দরে পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এরপর থেকে পণ্য ডেলিভারি দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।

কিন্তু পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, ট্রান্সপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ সক্রিয় না থাকায় পণ্য ডেলিভারি সম্ভব হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে কনটেইনার জট মারাত্মক রূপ নেবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।

তবে শনিবার থেকে বন্দরের ইয়ার্ড হতে কনটেইনার ও কার্গো মালামাল খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ওইদিন সাড়ে তিন শ’ টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়েছে। শনি-রবিবারের মধ্যে এর পরিমাণ আরো বাড়বে বলে জানান বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম জানান, শুধুমাত্র ঈদের দিন কিছু সময়ের জন্য বন্দরের পণ্য উঠা-নামা কিংবা পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। এরপর পণ্য খালাস করতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ঈদে বন্দর সচল থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলো সচল না থাকলে তার সুফল পাওয়া যায় না। রাস্তায় পণ্যবাহী যান না চললে আমদানিকারকরা পণ্য কিভাবে গন্তব্যে নিয়ে যাবে?
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা সচল না হলেও পণ্য ডেলিভারি সম্ভব হয় না। এছাড়া রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আইসিডিগুলোতে (ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো) অপেক্ষমাণ কনটেইনারগুলোও বন্দরে নিয়ে যেতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। ফলে কিছু কনটেইনার ইয়ার্ডে জমা হয়েছিল ঠিকই, তবে একে কনটেইনার জট বলা যাবে না।

সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী ও বিজিএপিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি খন্দকার লতিফুর রহমান আজিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বন্দরে আমাদের কনটেইনার ভর্তি পণ্য রয়েছে কিন্তু সড়কে পণ্যবাহী যানচলাচল না করায় ইচ্ছে থাকলেও সিঅ্যান্ডএফ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করা হয়নি। এছাড়া পণ্যও ডেলিভারি নেওয়া সম্ভব হয়নি বন্ধের দিনগুলোতে।

এদিকে আমদানিকারকরা জানান, ঈদে কনটেইনার জট সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি প্রতিবছরের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বন্দর সচল থাকলেও কাস্টমস, শিপিং এজেন্ট, ব্যাংক, পণ্য পরিবহনসহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষকে আরো গুরুত্ব আরোপ করে পরিকল্পনা নিতে হবে। অন্যথায় ঈদের ছুটির ফলে টানা ৭-৮ দিন পণ্য খালাসে ধীরগতির জের টানতে হয় অনেক দিন ধরে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সবগুলো ইয়ার্ডে ৪৯ হাজার টিইইউস কনটেইনার রাখা সম্ভব। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ২ থেকে আড়াই হাজার টিইইউস কনটেইনার ডেলিভারি হয়। ঈদের আগে থেকে কনটেইনার ভেলিভারির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় দুই থেকে তিন শ’ টিইইউসে। তবে বন্দর ইয়ার্ডে এখনো কনটেইনার রাখার মতো খালি জায়গা রয়েছে বলে জানান সচিব ওমর ফারুক।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *