আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কেউ ঋণ খেলাপি রয়েছেন কি-না তা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককে সম্প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ১২ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে, ঋণ খেলাপিরা জাতীয় সংসদে সদস্য হওয়ার যোগ্য নন। ফলে তারা জাতীয় সংসদে প্রার্থী হতে পারেন না। এ কারণে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়পত্র দাখিলকারীদের ঋণ খেলাপ বিষয়ে তথ্য জানাতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর বিকেল ৫টার পর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যাংক নিজ উদ্যোগে তথ্য সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে মনোনয়পত্র দাখিলকারীর নাম, পিতা-মাতা অথবা স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
‘এরপর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই থেকে রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার আগেই রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ তথ্য জানাতে হবে।’
এছাড়া প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকার কথাও বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। এজন্য ওইদিনই ঋণ খেলাপি বিষয়ক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পুনঃতফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। আর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম