একনেকে ৮ প্রকল্প অনুমোদন

ecnec-smbdনিজস্ব প্রতিবেদক :

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভা ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকরণ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পসহ মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭২৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ডিজিটাল সংযোগের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন করে ১৬ লাখ গ্রাহককে নতুন টেলিফোন সংযোগ দেওয়া হবে। এজন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ও মাল্টিমিডিয়া সাবস্টেশন (এইএমএস) স্থাপনসহ বিদ্যমান এক্সচেঞ্জগুলোর সংস্কার করা হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের মধ্যে চীন সরকার ঋণ দেবে ১ হাজার ৮১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৭৫৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় অনুমোদন দেওয়া আটটি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এক হাজার ৯২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় হবে ৭৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। একনেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণে ৪৩৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে রাজশাহী জোনের দু’টি আঞ্চলিক মহাসড়কের ৭৪ কিলোমিটার সড়কের মান উন্নয়ন করা হবে।

পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সড়ক মহাসড়ক বিভাগের আওতায় সমগ্র দেশে ২০৯টি আঞ্চলিক মহাসড়ক রয়েছে। এরমধ্যে সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের অধীনে রাজশাহী জোনের ১৬টি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করা হবে। এর অংশ হিসাবে ৭৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়ক মহাসড়কে উন্নীত করা হচ্ছে, এতে জন্য ব্যয় হবে ৪৩৮ কোটি টাকা।

প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে, বগুড়া থেকে নওহাটা-মহাদেবপুর-পত্নীতলা-ধামুইরহাট হয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং রাজশাহীর নওহাটা হয়ে চৌমাসিয়া পর্যন্ত ৫৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। অনুমোদন পেলে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর চলতি বছর থেকে ২০১৯ সাল নাগাদ এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।

অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, দেশের পার্বত্য অঞ্চলের শ্রমিকদের কল্যাণ সুবিধা ও দক্ষতা উন্নয়নে প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। নেত্রকোনা-বিসিউড়া-ঈশ্বরগঞ্জ সড়ক উন্নয়নে ২৬১ কোটি টাকা, নাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ থেকে মিনার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণে ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) এর অবকাঠামো নির্মাণের কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা। কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

কনভারর্সন অব ১৫০ মেগাওয়াট সিলেট গ্যাস টারবাইন পাওয়ার প্ল্যান্ট টু ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায় (২য় পযায়) প্রকল্পের এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *