বিশ্বজুড়ে সম্পদের অসমতা বেড়েই চলেছে। গবেষকরা ধারণা করছেন ধনী-গরীবের বৈষম্য বর্তমানে গত শতাব্দীর ভেতর সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিওদের সংস্থা অক্সফাম এক গবেষণা প্রতিবেদনে সম্পদের এ বৈষম্যের বিষয়টি প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের অল্প কয়েকজন শীর্ষ ধনীর (১%) হাতে রয়েছে বিশ্বের ৮২ শতাংশ সম্পদ।
এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বৈশ্বিক সম্পদের পরিমাণ ৯ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বেড়েছে। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে সাড়ে সাত কোটি লোক। আর ৩৭০ কোটি লোকের ভাগ্যে কোনো উন্নয়নই ঘটেনি, তারা আগের অবস্থাতেই থেকে গেছে।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরমের বৈঠককে সামনে রেখে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে শত কোটি ডলার সম্পদের মালিকের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গত বছর এই সংখ্যা ২ হাজার ৪৩ রেকর্ড করা হয়েছে। এসব ধনীর সম্পদের পরিমান গত ১২ মাসে ৭৬২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।
অক্সফাম গ্লোবালের প্রধান নির্বাহী মার্ক গোল্ড রিং বলেন, “পরিসংখ্যান এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মারত্মক গড়বড় দেখা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শীর্ষে অত্যাধিক সম্পদ জমা হওয়া উন্নয়নশীল অর্থনীতির লক্ষণ নয়, তবে এটি এমন একটি ব্যবস্থার লক্ষণ যা আমাদের জন্য পোষাক তৈরি ও খাদ্য উৎপাদনকারী দারিদ্র সীমায় থাকা কোটি কোটি মানুষের উন্নয়নে ব্যর্থতা।”
তিনি জানান, সত্যিকারার্থে দারিদ্রতার মূল উৎপাটনে কাজ করতে হলে জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম মজুরি, পরিমিত অবস্থা এবং নারীর সমতা প্রয়োজন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এসটি