কীভাবে বাংলাদেশি পণ্য বিশ্ববাজারে আরও গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান লাভ করতে ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেছেন নবনিযুক্ত কমার্সিয়াল কাউন্সিলররা। তারা প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশ্বের সম্ভাবনাময় দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রমোশনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা চালাবেন।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন শেষে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে নবনিযুক্ত কমার্সিয়াল কাউন্সিলররা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাহিদ আফরোজের নেতৃত্বে কাউন্সিলরদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন তেহরানে নিয়োগপ্রাপ্ত ড. জুলিয়া মঈন, ইয়াংগুণে নিযুক্ত শাহেদুল আকবর খান, সিউলে ড. মিজানুর রহমান, লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ-উল-আলম, ব্রাসেলসে নিয়োগপ্রাপ্ত সফিউল আজম এবং কুনমিংয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দপ্তরের প্রথম সচিব বজলুর রশীদ। ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল ও সৈয়দা নাহিদা হাবিবাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান শামীমা আক্তার।
কারখানা পরিদর্শন শেষে ড. জুলিয়া মঈন বলেন, বাংলাদেশ যে অনেক এগিয়ে গেছে, ওয়ালটন কারখানা দেখে আজ সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে দেখে আজ আমরা গর্বিত। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে ওয়ালটন।’
মিরাজুল ইসলাম উকিল বলেন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন। আগে বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে কাজের সুযোগ ছিল না। কিন্তু, আজ দেখলাম- দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশেই কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে ওয়ালটন। যা কিনা দেশের জন্য খুবই ভালো।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/