কমিশন-হার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি ডিএসই

dse1নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বয়ংক্রিয় লেনদেনের নতুন সফটওয়্যার চালুর তৃতীয় দিনেও চূড়ান্ত হয়নি লাগা ও হাওলা কমিশনের নতুন হার। নতুন সফটওয়্যারে ১টি করেও শেয়ার কেনা-বেচা করা যায়। কিন্তু এর জন্যও আগের বেঁধে দেওয়া হারে হাওলা ও লাগা চার্জ পরিশোধ করতে হয়। এই কমিশন নির্ধারণে একটি বোর্ড সভায় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)।

হাওলা ও লাগা চার্জ পুনঃনির্ধারণে সোমবার ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ বৈঠকে বসলেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ট্রেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এ হার পুনঃনির্ধারণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেন, তিন দিনের লেনদেন চিত্র পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট নয়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় প্রযোজন। এ ছাড়া এ বিষয়ে ট্রেকহোল্ডারদের ভিন্নমত রয়েছে। ডিএসই বোর্ডের একক সিদ্ধান্তে বাজারে যাতে প্রভাব না পড়ে সে লক্ষ্যেই ট্রেকহোল্ডারদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউসগুলো প্রতি হাওলা লেনদেনের জন্য ডিএসইকে ২ টাকা হাওলা চার্জ দিয়ে থাকে। আর ১০ পয়সা করে লাগা চার্জ দেওয়া হয়। হাওলা চার্জের বিপরীতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেনের উপর হাউসভেদে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শতকরা ৩৫ থেকে ৫০ পয়সা কমিশন নেওয়া হয়। নতুন পদ্ধতিতে ১টি শেয়ার লেনদেনের বেলায়ও ডিএসইকে ২ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে।

আর ১টি শেয়ার লেনদেনের জন্য হাওলা, লাগা (সর্বমোট লেনদেনের উপর প্রদেয় কমিশন) ও এটিআই (আগাম কর) চার্জ বাবদ হাউসের ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩ টাকা। ফলে একটি শেয়ার লেনদেন হলে বেশি কমিশন আদায় করা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

জানা গেছে, নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থায় মার্কেট লট (শেয়ারগুচ্ছ) না থাকায় হাওলা, লাগা ও কমিশনের চার্জ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এএআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *