সপ্তাহের শুরুতে ঢাকার শেয়ারবাজারে একদিনে বাজার মূলধন কমে গেছে তিন হাজার ৪৮৮ কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে ডিএসইএক্স সূচকের অবস্থান পাঁচ হাজার ৩০০ পয়েন্টের ঘরে।
হঠাৎ করে এত বড় পতনের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ জানা যায়নি। তবে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছিল। এর প্রভাব পড়েছিল শেয়ারবাজারেও।
তারল্য সংকটের সমাধানে চলতি বছরে ব্যাংকগুলোর নগদ জমা সংরক্ষণের (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও) হার ছয় দশমিক পাঁচ থেকে কমিয়ে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনায় বর্তমানে ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তারল্যের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়।
প্রথম প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে তারল্য বেড়েছে ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এতে করে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সক্ষমতাও বেড়েছে।
এছাড়া চীনা কনসোর্টিয়ামের টাকাও শিগগিরই শেয়ারবাজারে আসার কথা। কাজেই বড় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে ঢোকার আগে শেয়ারের দরে বড় সংশোধন হতে পারে। এছাড়া শেয়ারবাজারে এমন কোনো নেতিবাচক খবর নেই, যার কারণে এতটা দরপতন হচ্ছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি