প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। এবারের বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য অনেক প্রণোদনা রয়েছে। যা শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই বাজেটে দেশের প্রত্যেকটি জনগণ উপকৃত হবে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। উন্নয়নের গতিধারা ও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এবারের বাজেট জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশে চলমান উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে শনিবার প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছি। কিন্তু কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান নগদ লভ্যাংশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো নিট মুনাফার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত রিজার্ভ করতে পারবে। আর তারা বাকি ৩০ শতাংশ মুনাফা হতে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে হবে। কারণ ব্যাংকে উচ্চহারে সুদ থাকলে শিল্পখাত ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিকশিত হয় না। প্রস্তাবিত বাজেটে খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনতে যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা যুগোপযোগী। আর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের গড় আয়ু ৬৫ থেকে ৭২ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ থেকে ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অতি দরিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ১১ ভাগে নামিয়ে এনেছি, ৪৫ ভাগ দারিদ্র্যতাকে ২১ ভাগের নীচে নামিয়ে আনতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্যের হার আগামীতে ১৬/১৭ ভাগে নামিয়ে আনবো।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/জেড/এম