যুক্তরাজ্যের তৈরি বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের বিলাসবহুল গাড়ি ল্যান্ড রোভার। এই ব্র্যান্ডের কালো রঙের রেঞ্জ রোভার স্পোর্টস ভি৮ মডেলের গাড়ি বিক্রির জন্য ২০১৬ সালে নিলামে তুলেছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নিলামে প্রায় ১২ বছরের পুরোনো ৪৩৯৪ সিসির এই গাড়ির জন্য ১ কোটি ১১ লাখ টাকার সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেছিল চট্টগ্রামের পিএইচপি গ্রুপ। কিন্তু ওই দরে বিক্রি না করে ২০১৭ সালে আবার নিলামে তোলা হয়। সেবার কোনো ক্রেতা ছিল না এই গাড়ির। এবার নিলামে এই গাড়ির সর্বোচ্চ দর পড়েছে ২১ লাখ ৫ হাজার টাকা।
২১ লাখ টাকায় হলেও নিলামে এই গাড়ি ক্রেতা পাওয়া গেছে, কিন্তু একই ব্র্যান্ডের ৪১৯৭ সিলিন্ডার ক্যাপাসিটির আরেকটি গাড়ির কোনো ক্রেতা খুঁজে পায়নি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রথম দফায় ৯০ লাখ এবং দ্বিতীয় দফায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা দর পড়েছিল গাড়িটির।
এই দুটো গাড়ির মতো এবার ১১১টি গাড়ি তৃতীয় দফায় নিলামে তোলা হয়েছিল। গত ২৯ ও ৩০ মে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে কাস্টম। তাতে দেখা যায়, আগের তুলনায় এবার নিলামে খুব বেশি সাড়া পড়েনি। বেশির ভাগ গাড়ির দরও কম পড়েছে আগের তুলনায়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকেরা কারনেট বা পর্যটন সুবিধায় ছয়-সাত বছর আগে এসব বিলাসবহুল গাড়ি এনেছিলেন। কিন্তু ওই সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি আরোপ করায় আমদানিকারকেরা গাড়িগুলো বন্দরে ফেলে রেখে সটকে পড়েন। তাই এসব গাড়ি বিক্রির জন্য বারবার এ নিলাম আয়োজন হচ্ছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এবার ১১১টি গাড়ি নিলামে তোলা হলেও ৪৫টি গাড়ি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দরদাতারা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছে ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, যা আগের নিলামের চেয়ে কম। আবার এই ৪৫ গাড়ির মধ্যে ২৫টিতে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন দুজন। এর আগে ২০১৬ সালে ৫৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয় ২৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে ৯৩টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা হয় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
জানতে চাইলে কাস্টমসের নিলাম শাখার উপকমিশনার তপন চন্দ্র দে বলেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে নিলাম কমিটি ঠিক করবে, কোনটি বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে আর কোনটি দেওয়া হবে না। যেসব গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে না সেগুলো আবার নিলামে তুলে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড