খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের সর্বনাশ

bankস্টকমার্কেট ডেস্ক :

পুনঃতফসিল নীতিমালায় ছাড় দেয়ার কারণে খেলাপি ঋণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। আর খেলাপি ঋণ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়াকে ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় হুমকি বলে অবিহিত করেছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ট্রেজারি অপারেশনস অব ব্যাংকস ২০১৬ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এ মন্তব্য করেন।

বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম-এর পরিচালক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব, এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন, দি সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মইনুদ্দিনসহ সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৩ সালে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক হিসাবের তুলনায় দ্বিগুণ। পুনঃতফসিল নীতিমালায় ছাড় দেয়ার কারণে খেলাপি ঋণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। এছাড়া আরও কিছু কারণে ব্যাংকিং খাতের জন্য খেলাপি ঋণ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের দৈন্যদশার মূল কারণ। এর কারণেই সুদের হার এখনো নাগালের বাইরে। এ কারণেই ভালো ঋণ গ্রহীতারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ তদারকি করতে হবে।

বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক বলেন, খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতে সর্বনাশ ডেকে আনছে। এ অবস্থার উত্তরণ না হলে পুরো ব্যাংকিং খাতের জন্য চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এ ধরনের ঋণের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাংকগুলো ভালো গ্রাহকদের কাছ থেকে চড়া সুদ নিচ্ছে।

এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ট্রেজারি ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সব ব্যাংকের প্রধানদের ট্রেজারি ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজর না দিলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মেহেদি জামান, ব্যাংক এশিয়ার ট্রেজারি বিভাগের প্রধান আরিকুল আরিফিন প্রমুখ।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এসএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *