ভোগ্যপণ্যের মধ্যে চীন থেকে আমদানি হয় মূলত আদা ও রসুন। সংকটের সময় আসে আরেক ভোগ্যপণ্য পেঁয়াজ। করোনাভাইরাসের কারণে আমদানিতে সংকটের সৃষ্টি হবে—অজুহাতে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এ তিনটি পণ্যের দাম পাইকারিতে বেড়েছিল কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। তিন সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা চলার পর শেষ সপ্তাহে এসে এই তিন পণ্যের দাম কমে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ভোগ্যপণ্য ছাড়াও চীন থেকে আসে বিপুল পরিমাণ আপেল, কমলা, জাম্বুরা, নাশপাতিসহ অন্যান্য ফল। এসব ফল আমদানিতে সরবরাহ সংকটের সৃষ্টি হয়নি, তাই বাজারে দামও বাড়েনি। তবে চীন থেকে আসা সব ধরনের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বেড়েছে।
নভেল করোনাভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ওঠার পর চালু হয়েছে চীনের বেশির ভাগ সমুদ্রবন্দর। পণ্য উৎপাদনকারী বেশির ভাগ কারখানাও সচল হয়েছে, যদিও সব কারখানায় এখনো পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়নি। এরই মধ্যে চীন থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং বিভিন্ন শিল্পপণ্য ও ভোগ্যপণ্যভর্তি জাহাজ দেশে আসতে শুরু করেছে। চীনের বন্দর চালু হওয়ার পর প্রথম জাহাজটি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়ছে আজ মঙ্গলবার।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চীনের সমুদ্রবন্দরগুলো চালু হওয়ার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সাংহাই বন্দর থেকে কনটেইনারে পণ্যভর্তি ‘কেপ ওরিয়েন্ট’ জাহাজ রওনা দিয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। জাহাজটি আজ বন্দর জেটিতে ভিড়ছে। এ জাহাজে তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন ধরনের কাপড়, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ও রাসায়নিক পণ্য আছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/