চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের পেঁয়াজ আমদানি শুরু

521219c027d95-onionস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে নয় কনটেইনারে ২৫৮ টনের চালান এসে পৌঁছেছে। এর আগে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে দুটি চালানে ৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছিল। এ নিয়ে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর ৩১৫ টনের চালান আমদানি হয়েছে বিকল্প দেশ থেকে।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, পেঁয়াজের চালান খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দুই কনটেইনারের চালান খালাস নেওয়া হয়েছে। বাকি চালান আমদানিকারকেরা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র জানায়, বন্দরে আসা পেঁয়াজের ২৫৮ টনের চালানের মধ্যে ১৭০ টন খালাসের ছাড়পত্র নিয়েছেন দুজন আমদানিকারক। পেঁয়াজের চালান খালাসে ছাড়পত্রের আবেদন করার পর দ্রুতই তা দেওয়া হচ্ছে।

উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ কেন্দ্র জানায়, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের প্রথম চালানটি এনেছে কায়েল স্টোর। ভারত রপ্তানি বন্ধের আগেই গত ৩১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছিল। এ ছাড়া পাকিস্তান থেকে গ্রিন ট্রেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১১৬ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি গত ৬ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছিল।

তবে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর যেসব চালান আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল সেগুলো এখনো বন্দরে এসে পৌঁছায়নি। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব চালান বন্দরে এসে পৌঁছার কথা রয়েছে বলে আমদানিকারকেরা জানিয়েছেন।

ভারত রপ্তানি বন্ধের পর বিকল্প দেশ হিসেবে মিয়ানমার থেকে প্রথম চালান আমদানি হয়েছিল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে ট্রলারে করে ৩০ টনের পেঁয়াজের চালান আমদানি হয়। এর গত শনিবার ২৭ টনের আরেকটি চালান খালাস দেওয়া হয়।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, পাইকারি বাজারে এখন কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে যে চালানটি এসেছে তা প্রায় একই দরে বেচাকেনা হয়েছে। বিকল্প দেশ থেকে আমদানি বাড়লে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তিনি জানান। সূত্র : প্রথম আলো

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *