চাল আমদানির শর্ত আরও শিথিল করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

bbবিশেষ প্রতিবেদক :

বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির শর্ত আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে বিদেশি ক্রেতা বা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতেও চাল আমদানি করা যাবে। বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও আমদানিকারক বিদেশি ক্রেতা বা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বা বাকিতে চাল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।

সার্কুলার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এতোদিন সার, মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং শিল্পের কাঁচামাল বাকিতে আমদানির সুযোগ ছিল। এখন চাল আমদানিতেও এই সুযোগ থাকছে। এর ফলে আমদানির বিপরীতে বাকিতে বা ওই দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হল। ৯০ দিন মেয়াদি এই ঋণের সুদ হার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।

এর আগে গত ১৯ জুন বাকিতে চাল আমদানি করার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা ছিল, ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকলেও চাল আমদানিতে ঋণপত্র খোলা যাবে। চালের বাজারে অস্থিতিশীলতা দূর করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই নিদের্শনা অনুযায়ী, চাল আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিনা মার্জিনে ঋণপত্র খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে চালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ দিকে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধিতে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

এর আগে গত মাসে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি দরপত্র ছাড়াই সরকারি সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে যে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে, তার মধ্যে দুই চালানে মোট ৪৭ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *