চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত : দ্যা ইকোনমিস্ট

econoস্টকমার্কেট ডেস্ক :

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে নতুন করে মূলধন জোগান দিতে ২০১৭ সালের জুনে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। নানা লক্ষণে বোঝা যাচ্ছে দেশটির ব্যাংকিং খাত ক্রমবর্ধমান সমস্যার সম্মুখীন। আর এসব ইস্যু মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রকদের প্রচেষ্টাগুলো ছিল অপর্যাপ্ত।

ঋণখেলাপিদের শাস্তি দেয়া, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সামান্যই। আইএমএফ তাদের সাম্প্রতিক আর্টিকেল ৪ রিপোর্টে বলেছে, অতিরিক্ত তারল্যের কারণে ব্যাংকিং খাতে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। তবে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকিং খাতে পরিস্থিতির উন্নয়ন নির্ভর করবে সমস্যা মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর; যা এতদিন সীমিত ছিল।

লন্ডনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্যা ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের এক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, আইএমএফ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতার পেছনে বহুলাংশে দায়ী বড় অংশের ঋণগ্রহীতাদের দেয়া ঋণ, যাদের অর্থ পরিশোধের তাগিদ কম। পাশাপাশি রয়েছে আইনি সীমাবদ্ধতা, যা অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। রাষ্ট্রায়ত্ত ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রয়েছে মোট ব্যাংকিং খাতের সম্পদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। তাদের সঙ্গে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত দুটি বিশেষায়িত উন্নয়ন ব্যাংক, ৪০টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ৯টি বিদেশি ব্যাংক।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেশি: রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো নন-পারফর্মিং লোনস (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণ, কম মুনাফা, বড় ধরনের পুঁজি ঘাটতি এবং ব্যালান্সশিট দুর্বলতায় ভুগছে। এ সমস্যার মূলে রয়েছে দুর্বল ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা। দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বড় ও দাপুটে ঋণগ্রহীতাদের কাছে মোটা অংকের ঋণ দিয়ে আসছে। তারা অর্থ পরিশোধে গাফিলতির জন্য পরিচিত। ঋণখেলাপিদের শাস্তি দেয়ার নজির বিরল। এর পরিবর্তে একই ঋণগ্রহীতাদের ফের ঋণ প্রদানের অনুমোদন দিতে ঋণ পুনর্বিন্যাস করা হয় নিয়মিত।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *