ট্রাইব্যুনালে আবারো রকিবুর রহমানের মামলার বিচার কার্যক্রম

tribunal-picনিজস্ব প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজার সম্পর্কিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে চিটাগং সিমেন্টের শেয়ার কারসাজি মামলার বিচারকাজের ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়েছে গেল সপ্তাহে। ঈদের পর ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হবে। বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় নতুন করে মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকা অনুসারে, ১৫ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হবে। এই মামলাটির বিবাদী ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক শহিদুল হক বুলবুল। আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, সেদিন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবির। কিন্তু আইনগত কিছু দিককে চ্যালেঞ্জ করে বিবাদী শহিদুল হক বুলবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রায় ঘোষণার পাঁচদিন আগে ট্রাইব্যুনালে মামলাটির বিচারকাজের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দেন।

একই সঙ্গে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ২৫ (এ) ধারা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছিলেন আদালত। সে ধারা অনুসারে, মামলার বিবাদীই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে।

প্রথম দফা স্থগিতাদেশের ছয় মাস পর বিবাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত থেকে দ্বিতীয় দফা স্থগিতাদেশ আসে, যা মেয়াদ শেষ হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। এ অবস্থায় উচ্চ আদালত থেকে নতুন করে স্থগিতাদেশ না এলে ১৫ সেপ্টেম্বর বিচার কাজ শুরু করবে ট্রাইব্যুনাল। এদিকে বিবাদীপক্ষ নতুন স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন করেছে কিনা, তা নিশ্চিত করেননি সংশ্লিষ্ট আইজীবী। ট্রাইব্যুনালও এখন পর্যন্ত নতুন কোনো স্থগিতাদেশ পায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্ট ক্লিংকার অ্যান্ড গ্রাইডিং কোম্পানি লিমিটেডের (বর্তমানে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কারসাজির মামলার বিবাদী হলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান, টি কে গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব ও ডিএসইর সাবেক পরিচালক শহিদুল হক বুলবুল। তারা ওই সময় কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ভারতীয় এবং ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার কিনবেন বলে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ার মূল্য প্রভাবিত করেছেন আসামিরা। বিএসইসির অনুমতি ছাড়া কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হস্তান্তর করেন। এছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা সত্ত্বেও আসামি রকিবুর রহমান এবং এএস শহিদুল হক বুলবুল কোম্পানির পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি, যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর লঙ্ঘন।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *