তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা- ওপেকের সঙ্গে মস্কোর যে চুক্তি হয়েছে তা মেনে তেলের উৎপাদন নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত আটকে রাখবে রাশিয়া- সম্প্রতি এমনটিই জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমাতে ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি যুবরাজকে চাপ দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু ট্রাম্পকে হতাশ করে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, কোন চাপেই তেলের উৎপাদন বাড়াবে না ওপেক। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এককভাবে ওই ঘোষণা দেন পুতিন।
পুতিনের ওই ঘোষণা প্রথমত ইরান ও ভেনিজুয়েলার মতো ওপেকের কিছু সদস্য দেশকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। কেননা তখনও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসেনি ওপেক।
ইরানের তেল বিক্রির ওপর মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের জের ধরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এরইমধ্যে বাজারে অতিরিক্তি তেল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের অন্যতম বড় প্রস্তুতকারক রাশিয়া কি সিদ্ধান্ত নেয় তা দেখার জন্য অনেকে অপেক্ষা করছিলেন।
এদিকে, ১ জুলাই ভিয়েনায় ওপেকভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের বৈঠক শেষে সদস্য দেশগুলোর ওই সম্মেলনে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তা ছিল মূলত পুতিনের ঘোষণারই প্রতিধ্বনি। বিশ্ববাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত তেলের সরবরাহ কামানোর সিদ্ধান্তে উপনীত হয় ওপেক।
এদিকে গত ২২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের কাছ থেকে ক্রেতারা কোনো তেল কিনতে পারবে না। যেসব দেশ ইরান থেকে তেল কিনবে তাদেরকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও বিশ্ববাজারে তেলের দাম কেমন হবে তা অন্যতম নিয়ামকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, কোন চাপেই তেলের উৎপাদন বাড়াবে না ওপেক জানিয়ে ট্রাম্পকে হতাশ করলেন পুতিন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি