দুই মাসে সরকারের ঋণ ২ হাজার কোটি টাকা

soncoyস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে যে ২০ হাজার কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছে, তার ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা দুই মাসেই নিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ, বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ করার যে লক্ষ্য ধরেছিল তার ৩৭ দশমিক ২৭ শতাংশ দুই মাসেই নেওয়া হয়ে গেছে।

অর্থনীতির দুই গবেষক আহসান এইচ মনসুর ও জায়েদ বখত বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ‘অস্বাভাবিক’ বেড়ে যাওয়ায় এই খাতে সরকারের ঋণও বাড়ছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার দুই মাসের (জুলাই-অগাস্ট) যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি ৫ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এই অংক গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ের দ্বিগুণেরও বেশি।

গত অর্থবছরের জুলাই-অগাস্ট সময়ে ৩ হাজার ৭১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। আর অগাস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭৪৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা এক মাসের হিসাবে গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে ৪ হাজার ১৩০ কোটি ৭১ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। আর গত বছরের অগাস্টে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের অগাস্টের চেয়ে এবার অগাস্টে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ১৫০ শতাংশ।

২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে মোট ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ওই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। বিনিময়ে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের প্রতি মাসে সুদ দিতে হয়। এ কারণে অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

করোনাভাইরাস মহামারী মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছে অর্থনৈতিক সঙ্কট। মুনাফার উপর করের হার বৃদ্ধি এবং নানা ধরনের কড়াকড়ি আরোপের পরও সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে। এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র : বিডি নিউজ২৪

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *