নতুন লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির ফি কমানো হয়েছে। এই নিয়মে ১০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধিত মূলধন বিশিষ্ট কোম্পানিকে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ হারে তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে। পূর্বের লিস্টিং রেগুলেশনস অনুযায়ী এর হার ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত ১২ জুলাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নতুন লিস্টিং রেগুলেশনসের গেজেট হয়েছে। গত জুনের শেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এ রেগুলেশনস অনুমোদন করেছে। আইপিও প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন হওয়ার পর অথবা ডিরেক্ট লিস্টিং বিধি অনুযায়ী এ রেগুলেশনস অনুযায়ী কোনো কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। আর তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ার সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে কেনাবেচার সুযোগ পায়।
তবে তালিকাভুক্তি ফি কমানো হলেও বাড়ানো হয়েছে বার্ষিক তালিকাভুক্তি নবায়ন ফি। পূর্বে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনী কোম্পানিকে পরিশোধিত মূলধনের ওপর সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ হারে ফি প্রদান করতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিএসইর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, লিস্টিং ফি কমানোর কারণে এ খাত থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের আয় কমবে। তবে বার্ষিক নবায়ন ফি সর্বনিম্ন ৩৩ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ খাত থেকে ডিএসইর বার্ষিক আয় তালিকাভুক্তি ফির তুলনায় বেশি। ফলে সম্মিলিতভাবে উভয় খাত থেকে স্টক এক্সচেঞ্জের আয় বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বাড়বে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ব্যয়।
পূর্বে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত পরিশোধিত মূলধনী কোম্পানিকে সর্বনিম্ন ৬৫ হাজার টাকা বার্ষিক প্রদান করতে হতো। শতাকরা হারে তা শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ। নতুন আইনে তা শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর ১০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন বিশিষ্ট কোম্পানিকে পূর্বে শূন্য দশমিক ০১ হারে বার্ষিক প্রদান করতে হলেও এখন তা শূন্য দশমিক ০২ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া পূর্বে তালিকাভুক্তি ফি সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ নির্ধারণ করা ছিল। নতুন আইনে তা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন তালিকাভুক্তি ফি করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর সর্বোচ্চ তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম