নতুন মুদ্রানীতি বিনিয়োগবান্ধব হবে, বাড়বে টাকার প্রবাহ

new takaস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

আগামী মুদ্রানীতির মাধ্যমে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সৃষ্টি করা হবে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এতে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। এসব লক্ষ্যেই প্রণয়ন করা হচ্ছে নতুন মুদ্রানীতি। বুধবার এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বিশেষ সভায় এসব লক্ষ্য নির্ধারণ করে চলতি অর্থবছরের শেষার্ধের অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন মেয়াদের নতুন মুদ্রানীতির খসড়া অনুমোদন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বুধবার এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।

গিয়েই মামলা দায়ের করবে। নানা দিক চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। টাকা উদ্ধারই প্রধান লক্ষ্য। তাই কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করা হয়নি। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়।

বৈঠক সূত্র জানায়, দীর্ঘসময় ধরে দেশে বিনিয়োগে মন্দা চলছে। এ কারণে কর্মসংস্থানের হার প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ছে না। জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা বেড়েছে। তারা মনে করছে নতুন মুদ্রানীতির মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানোর কৌশল নেয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও উদ্যোক্তাদের এ প্রত্যাশাকে সামনে রেখে মুদ্রানীতিকে এবার সাজিয়েছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি অর্থবছরে দুই দফায় মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। প্রথমে বাজেট পাস হওয়ার পর জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। তবে ওই সময়ে পুরো অর্থবছরের একটি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়।

ডিসেম্বরের পর মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের অবস্থা পর্যালোচনা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ঘোষিত মুদ্রানীতি প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন করা হয়। এই ধরাবাহিকতায় জুলাইয়ে ঘোষিত মুদ্রানীতির বেশকিছু পরিবর্তন এনে জানুয়ারি-জুন মেয়াদের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে।

সূত্র জানায়, এবারের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানোর কৌশল থাকছে। এ লক্ষ্যে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। সরকারি বিনিয়োগ বাড়লে বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়বে। তখন ঋণের চাহিদাও বাড়বে। একই সঙ্গে অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণের প্রবাহ কমানো হবে।

এছাড়া নারী উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ও কুঠিরশিল্প, এসএমই খাতে ঋণের জোগান বাড়ানো হবে। বড় শিল্পে ও কৃষি খাতে ঋণের জোগান বাড়াতেও থাকবে বিশেষ উদ্যোগ। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট দেখা দেয়। এ কারণে ঋণের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণেও বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বাড়ানোর পাশাপাশি টাকার জোগান বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে।

জুলাই থেকে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে এবং ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর থেকে এই হার আবার বাড়তে থাকে। যে কারণে মুদ্রানীতিতে সুদের হার সহনীয় রাখার ব্যবস্থা নেয় হচ্ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/জেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *