চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে প্রায় ৫৬ হাজার নতুন বিনিয়োগকারী দেশের শেয়ারবাজারে প্রবেশ করেছেন। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেকেন্ডারি মার্কেটে মুনাফা না থাকায় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ারে কিছুটা মুনাফা হবে এমন প্রত্যাশায় বেশকিছু বিনিয়োগকারী নতুন করে বেনিফিশিয়ারি এ্যাকাউন্ট (বিও) খুলেছেন। তবে একের পর এক উদ্যোগ নেয়ার পরও বাজার ঘুরে না দাঁড়ানোয় বেশ হতাশ এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই।
এদিকে, বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে এবং শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে বাজারে নতুন নতুন ফান্ডের যোগান বৃদ্ধির আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে শেয়ারবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, দরপতনের বাজারেও এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। এদের ঠেকাতে না পারলে বাজার ভাল হবে না। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ১৫ মে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারী ছুটি বাদে মোট ৯৬ কার্যদিবস শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ কার্যদিবস উভয় বাজারে দরপতন হয়েছে। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার মূলধন হারিয়েছে বাজার।
বাজারের এ অবস্থা দেখে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ না করে আইপিওতে বেশকিছু বিনিয়োগকারী বিও হিসাব খুলেছেন। সিডিবিএলের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৫৫ হাজার ৮৩৭ বিও হিসাব খোলায় এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ২২ হাজার ৮৯টিতে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যা ছিল ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ২৫২টি। এদিকে বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী বাড়াতে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) বাজার সংশ্লিষ্টরা।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ