প্রবাসী আয়ে বন্ড কিনলে ২% প্রণোদনা নয়

bbস্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

প্রবাসী আয় পাঠিয়ে কোনো প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ করলে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাওয়া যাবে না। তবে প্রবাসী আয় দিয়ে অন্য কোনো বিনিয়োগ করলে প্রণোদনার সুবিধা মিলবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ বুধবার এ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

সূত্র জানায়, অনেকে প্রবাসী আয় পাঠিয়ে সুবিধাভোগীর নামে উচ্চ সুদের বন্ড কিনছেন, আবার ২ শতাংশ প্রণোদনাও নিচ্ছেন। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, অন্য কোনো ব্যক্তির নামে কেনা ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের পাশাপাশি নিজ নামে কেনা ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে বিনিয়োগের বিপরীতে নগদ প্রণোদনা প্রযোজ্য নয়।

প্রবাসীরা যাতে দেশে আয় পাঠাতে উদ্বুদ্ধ হন এবং এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পায়, এমন লক্ষ্য নিয়ে সরকার প্রবাসীদের জন্য তিন ধরনের বন্ড চালু করে। ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড। এর মধ্যে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের মেয়াদ পাঁচ বছর। এ বন্ডে ২৫ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যায় ১২ শতাংশ। প্রতি ছয় মাস অন্তর মুনাফা তোলারও সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি ছয় মাসে মুনাফা না তোলেন, তাহলে মেয়াদপূর্তিতে মূল অঙ্কের সঙ্গে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে ১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা দেওয়া হয়। আবার আট কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করলে সিআইপি সুবিধা পাওয়া যায়।

এর আগে এক নির্দেশনায় প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে কারা ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন না, তা নির্দিষ্ট করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তখন বলা হয়, যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশে চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় পেনশন পান, অথবা প্রবাস থেকে পেনশন পান, কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে থাকেন, তাঁরা এই বন্ড কিনতে পারবেন না।

ওয়েজ আর্নারের মৃত্যু-পরবর্তী চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাবদ পাওয়া অর্থ দিয়েও এ বন্ড কেনা যাবে না। অর্থাৎ যাঁরা বিদেশে ছিলেন, কিন্তু এখন দেশে অবস্থান করছেন, তাঁদের কেউ এই বন্ড কিনতে পারবেন না। এ ছাড়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ারওয়েজ কোম্পানির বিদেশি অফিসে নিয়োগ পাওয়া এবং সেখান থেকে বিদেশি মুদ্রায় পাওয়া অর্থ দিয়েও মেরিনার, পাইলট বা কেবিন ক্রুরা ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড কিনতে পারবেন না। অবশ্য বিদেশে অবস্থিতি বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনে কাজ করা সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য এই বন্ড কেনায় কোনো বাধা নেই।

বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। সে অনুযায়ী, গত বছরের ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা প্রতি ১০০ টাকার বিপরীতে ২ টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) মন্দা দূর করতে যাচাই ছাড়া আয় আনার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রবাসীদের পাঠানো ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকা আয় কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া ২ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবে। আগে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া নগদ সহায়তা দিয়ে আসছিল সরকার। এর ফলে আয় বাড়ছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *