এখন থেকে দেশেই তৈরি করা হবে বিদ্যুৎ বিতরণের প্রিপেইড মিটার। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও চীনের হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানি যৌথভাবে এ মিটার তৈরি করবে।
এই লক্ষ্যে রবিবার (২২ অক্টোবর) বিদ্যুৎ ভবনে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যৌথ মূলধনি কোম্পনি গঠনের চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তিতে পিডিবির সচিব আব্দুল মোতালেব এবং হেক্সিং এর পক্ষে চেয়ারম্যান জো ইয়াং চেং সই করেন।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, হেক্সিং ইলেক্ট্রিক্যাল কোম্পানির চেয়ারম্যান জো ইয়াং চেং, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মাকসুদা আক্তার, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিক উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দেশে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের জন্য খুলনার সাচিবুনিয়ায় ভাড়া করা ফ্যাক্টরিতেই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। তবে এই উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে মিটার তৈরির কারখানা করা হবে বলে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, এখন দেশে মোট বিদ্যুতের গ্রাহকের সংখ্যা তিন কোটি ১০ লাখ। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছে মাত্র ১৫ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায়। সরকার বিতরণ কোম্পানিকে যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ৭৫ লাখ গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। অর্থাৎ সরকারের পরিকল্পনা সফল করতে হলে ২ বছরে ৫৯ লাখ ২০ হাজার গ্রাহকের আঙিনায় মিটার বসাতে হবে। কিন্তু এত অল্প সময়ে এত বেশি মানুষের ঘরে ঘরে প্রিপেইড মিটার বসানো সম্ভব নয় বলে মনে করা হয়।
ওয়েস্টজোন ও হেক্সিং যৌথভাবে যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে দেখা যায়, প্রতিটি মিটার আমদানি করতে এখন ব্যয় হচ্ছে সাড়ে চার হাজার টাকা। কিন্তু দেশে তৈরি করা হলে প্রতি মিটারের দাম পড়বে চার হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি মিটারে সাশ্রয় হবে ৫০০ টাকা। তবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে আরও কম খরচে মিটার উৎপাদন সম্ভব।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড