প্রিমিয়ামের জন্য বুকবিল্ডিংয়ে আসতে হবে

bsecনিজস্ব প্রতিবেদক :

অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি দরে অর্থাৎ প্রিমিয়ামে কোন কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে চাইলে এখন থেকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতেই আবেদন করতে হবে। শুধুমাত্র অভিহিত মূল্যে অর্থ সংগ্রহের জন্য ফিক্সড প্রাইস মেথডে আবেদন করা যাবে। এমন বিধান রেখে বিএসইসি রুলস ২০১৫ অনুমোদন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

সোমবার বিএসইসির কমিশন বেঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বর্তমানে ফিক্সড প্রাইস মেথডেও প্রিমিয়াম মূল্যে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে কোম্পানিগুলো।

পাবলিক ইস্যু রুলে বাংলাদেশ ব্যবসা বা বিনিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের জন্য বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বিডিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্ট পোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি, মিউ. ফান্ড, স্টক ডিলার, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার এবং অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড।

এতে বলা হয়েছে, বিডিংয়ে প্রত্যেক ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা কোটা সংরক্ষণ করা হবে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতির জন্য যে সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে তারমধ্যে রয়েছে, প্রত্যেক কোম্পানিকে রোড শো আয়োজন করতে হবে। রোড শোতে যে সব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা অংশগ্রহণ করবে তাদের মতামত এবং পর্যবেক্ষণসহ ইস্যুয়ার কোম্পানি প্রসপেক্টাসের কপি এবং আবেদনপত্র বিএসইসি এবং স্টক এক্সচেঞ্জে দাখিল করতে হবে।

তবে প্রসপেক্টাসে ইস্যুয়ারের সব ধরনের তথ্য থাকতে হবে এবং শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণও উল্লেখ থাকতে হবে। তবে কত দরে এবং কি পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করা হবে তা উল্লেখ করা যাবে না।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত কোটার শেয়ার সর্বনিম্ন যে দরে বিডিং শেষ করবে সেটি হবে কোম্পানির ‘কাট অফ প্রাইস’। কাট অব প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ কম দরে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ারের বরাদ্দ মূল্য হবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ‘কাট অব প্রাইসে’ কোটা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *