১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারিতে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেছেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) ভবনে অবস্থিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবীর রায়ের এ তারিখ ঘোষণা করেন।
এ মামলায় আসামিরা হল- প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজসহ কোম্পানির চেয়ারম্যান এম এ রউফ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক সৈয়দ এইচ চৌধুরী ও অনু জাগিরদার।
মামালার আসামিরা পলাতক থাকায় যুক্তিতর্ক ছাড়াই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আদালত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। এ সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেন।
যার মধ্যে ছিল বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার। তবে ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট দিয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০টি শেয়ারের। এছাড়া মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি শেয়ারের বিপরীতে ১ লাখ শেয়ার, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি শেয়ারের বিপরীতে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০টি শেয়ার, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৫০টি শেয়ার বিদেশি ডেলিভারি ভার্সেস পেমেন্ট (ডিভিপি) দিয়েছে। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন। আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন।
এই মামলার সাক্ষীরা হলেন বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, সাবেক চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জহুরুল হক, প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এনএ