২০১৬ সালে ফরচুন সু’র লক্ষ্যমাত্রা ১৫.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার

fortuneনিজস্ব প্রতিবেদক :

আইপিও প্রক্রিয়াধীন থাকা ফরচুন সু লিমিটেড চলতি বছরে ১৫.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০১৬ সালের ৯ মাসে ইতোমধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৫ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সম্পূর্ন রপ্তানীমূখী এই কোম্পানিটি।

কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারো ২০১৬ সালের জন্য একটি বড় লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যবসা করছে কোম্পানিটি। চলতি বছরে কোম্পানিটি নিজেদের উৎপাদিত জুতা রপ্তানী করে ১৫.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২৩.৫৯ কোটি টাকা আয় করতে চায়।

ফরচুন সু’র উৎপাদিত জুতা সবচেয়ে বেশি আমদানি করে থাকে তাইওয়ান। এছাড়া ইউরোভুক্ত দেশ নেদারল্যান্ড, সুইডেন ও জার্মানীতে এ সব জুতার চাহিদা রয়েছে। উত্তর
আমেরিকার দেশ কানাডা ও শীত প্রধান সুইজারল্যান্ডে ফরচুন জুতার বড় বাজার রয়েছে।

ইউরোপে স্পোস্টর্স জুতার চাহিদা বেশি থাকায় এটাকে সম্ভনাময় বাজার হিসাবে দেখছে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে।

ফরচুন সুজের সবচেয়ে বড় ক্রেতা প্রোগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তাইওয়ানভিত্তিক এই কোম্পানিটি ফরচুনের উৎপাদিত পন্যের প্রায় ৫০ শতাংশ কিনে থাকে। তারা এসব জুতা ফরচুন সু, তাইওয়ান নামে বাজারজাত করে থাকে। চলতি বছরের ৯ মাসে এই ক্রেতা ফরচুনের প্রায় ৪.২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পন্য কিনেছে। যা কোম্পানির মোট উৎপাদিত পন্যের ৪৫ শতাংশ।

ফরচুন সুজের দ্বিতীয় বৃহৎ ক্রেতা নেদারল্যান্ড ভিত্তিক থিও হেল ক্যানম্যান সুনেন। গত কয়েক বছর হলো এই ক্রেতা ফরচুনের এক চতূর্থাংশ জুতা কিনে আসছে। চলতি বছরের এখন পর্যন্ত এ কোম্পানিটি প্রায় ২.৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সু কিনেছে।

এছাড়া এক্সটি ফুটওয়ার, কমফোর্টা নিওকোফ, ডচেন বাচ অচনার, থারেমা সান্ডিনাভিয়া, ভান হারেন সোনেন, কডিয়াক টাউন সুজ ও জিভব্রুড হ্যামিক নামে ক্রেতারা এই কোম্পানিতে জুতা তৈরি করে তা বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করে আসছে।

ফরচুন সুজের বাংলাদেশ কোনাে বিক্রয় কেন্দ্র বা শো রুম নাই। কোম্পানিটি বিশ্বখ্যাত ব্রান্ডের জুতা তৈরি করে তা বিশ্বস্থতার সহিত ক্রেতাদের নিকট সংগ্রহ করে আসছে।

কোম্পানিটি তাদের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এশিয়ার কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি করে। এর মধ্যে চীন, হংকং ও তাইওয়ান থেকে তারা সবচেয়ে বেশি কাঁচামাল সংগ্রহ করে থাকে।

সর্বপরি বলা যায়, ফরচুন সুজ বাংলাদেশের সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যের চামড়া দিয়ে বিশ্বমানের জুতা তৈরি করে যেমন বিদেশি মুদ্রা দেশে আনছে। তেমনি গুরুত্বপূর্ণ এ খাত দেশের জিডিপি অর্জনে বড় ধরণের ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি রাজধানী থেকে শত শত মাইল দূরের একটি অগম্য স্থানে মানুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।

সম্প্রতি এই কোম্পানিকে আইপিও মাধ্যমে শেয়ারবাজার হতে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আইপিও ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে কোম্পানির জুতা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা আগামী দু বছরের মধ্যে আরো দ্বিগুণ বাড়বে বলে কােম্পানিটি জানায়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/এআর/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *