বাংলাদেশের অর্থনীতি এগোচ্ছে লাফিয়ে লাফিয়ে

high indexস্টকমার্কেটবিডি ডেস্ক :

বাংলাদেশের অর্থনীতি লাফিয়ে লাফিয়ে এগোচ্ছে বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক ব্লগপোস্টে মন্তব্য করা হয়েছে। তাদের পূর্বাভাস, ২০২০ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। তখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধির দেশ হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ব্লগপোস্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর যে দেশ অত্যন্ত দরিদ্র ছিল, সেই দেশের গড় প্রবৃদ্ধির হার এখন ৮ শতাংশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন বৈশ্বিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে। সেই পর্যায় থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এই উত্তরণপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নীত হওয়ার মানে হলো দেশের মোট জাতীয় আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বেড়েছে।

প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের চেয়ে দ্রুতগতিতে বড় হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে ভারত ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকবে মালদ্বীপ ও নেপাল, যদিও উভয় দেশের প্রবৃদ্ধি হবে একই হারে—৬ দশমিক ৩ শতাংশ। তালিকায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে সবার নিচে থাকবে পাকিস্তান।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমার কারণে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মূলত, সে কারণেই বাংলাদেশের এই উত্তরণ। উদাহরণ হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম দেখিয়েছে, ২০১০ সালে যেখানে দিনে ১ ডলার ৯০ সেন্টের চেয়ে কম আয়ের শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ, সেখানে ২০১৮ সালে তা ১০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

দেশের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ আসছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাতের আকার দাঁড়িয়েছে ৩০ বিলিয়ন ডলারে। পাশাপাশি অর্থনীতির বহুমুখীকরণও ঘটছে। মোট দেশজ উৎপাদনের ৫৩ শতাংশই আসছে সেবা খাত থেকে।

অন্যদিকে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশুমৃত্যু রোধ ও গড় আয়ু বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করা হয়েছে ব্লগপোস্টে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরিবারে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ভূমিকার প্রশংসা করেছেন অর্থনীতিবিদেরা। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ অনেক অর্থনীতিবিদই বাংলাদেশের এই অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বেশি। তাই ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বলে অনেক সংস্থাই পূর্বাভাস দিয়েছে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *