ইতিবাচক বাজেটে প্রত্যাশায় দেশের ৩০ লাখ বিনিয়োগকারী। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন কালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শেয়ারবাজার উন্নয়নের বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরেন।
বাজেট উপস্থাপন করে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ারবাজারে স্টার্ট-আপ ও নতুন কোম্পানির মূলধনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুলস,২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।এছাড়া, পুঁজিবাজারের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনয়নের লক্ষ্যে আধুনিক সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমও ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুঁজি গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে একটি স্মল ক্যাপ প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিট্যাল কোম্পানিস) রুলস, ২০১৬।পাশাপাশি, নতুন প্রোডাক্ট এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ)চালুর লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, শেয়ারবাজার উন্নয়নে গৃহীত দীর্ঘমেয়াদি কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য আলাদা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া, স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি এবং পেশাগত দ্ক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্টাট্রেজিক ইনভেস্টর) সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এম/বি