বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি

dollarনিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিবছরই দেশের বাইরের প্রবাসী ও বিদেশী বিনিয়োগকারী পুঁজি বিনিয়োগ করছেন। ২০০৩ সালে যেখানে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি টাকা। সেখানে গত ২০১৫ সালে তা শেয়ার কেনাবেচা শেষে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এই কয়েক বছরে বাজারে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। যদিও গত কয়েক বছরে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন বেড়েছে অনেক।

গত ১৪ বছরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশীরা শেয়ার কিনেছেন মোট ২০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে মোট মোট ১৪ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার শেয়ার তারা বিক্রি করেছেন। সেই হিসেবে গত কয়েক বছরে মোট বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।

ডিএসইর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০৩ সালে ডিএসইতে নিট বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার কিছুটা বেশি। ২০০৪ সালে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মোট শেয়ার কেনার পরিমাণ ছিল ২১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। একই সালে মোট শেয়ার বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেনাবেচা বাদে নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

তবে ২০০৫ সালে শেয়ার কেনার পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। ওই বছরে ওই সব হিসাবে মোট ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়, এর বিপরীতে বিক্রি হয় বেশি। তবে ঠিক পরের বছর ২০০৬ সালে মোট ১৩৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনে বিদেশীরা। বিক্রি করে ৪৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। পরের বছর তা আরও বেড়ে যায়। বছরটিতে মোট ১৪৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। বিক্রি করে ৫০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেনাবেচা বাদে নিট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৮৯ কোটি টাকা।

২০০৮ সালে আবারও তা কমে যায়। এই বছরে মোট ৫৫০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয় প্রবাসী একাউন্টে। পরের বছর কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৯১ কোটি টাকায়। তবে বাজারে উর্ধগতির সময় ২০১০ সালে ডিএসইতে মোট ১ হাজার ৭৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনে বিদেশীরা, ২০১১ সালে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। ২০১২ সালে ডিএসইতে মোট বিদেশীরা ১ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকার শেয়ার কেনে। ২০১৩ সালে শেয়ার কেনার পরিমাণ আরও বাড়ে ২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকার শেয়ার কেনে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা। এর বিপরীতে বিক্রি করে মাত্র ৭০৯ কোটি টাকার শেয়ার। মোট বিদেশী বিনিয়োগ দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা।

২০১৪ সালে ডিএসইতে ৪ হাজার ৬১০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হয়, এর বিপরীতে শেয়ার বিক্রি হয় ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিক্রি বাদে নিট বিনিয়োগ দাঁড়ায় ২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। তবে ২০১৫ সালে এই গতিতে কিছুটা ভাটা পড়ে। মোট ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনে বিক্রি করে ৩ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা।

অর্থাৎ কেনাবেচা শেষে মোট বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮৫ কোটি টাকা। তবে চলতি বছরে আগস্ট মাস পর্যন্তই ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৫১ কোটি টাকা শেয়ার কিনেছে বিদেশীরা। এর বিপরীতে শেয়ার বিক্রি করেছে ২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/বিএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *