জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানিয়েছেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কিছুদিনের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ পয়সা বাড়তে পারে। দাম বৃদ্ধির এ হার হতে পারে ৫ শতাংশ। বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
বুধবার সচিবালয়ে অবস্থিত বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় এ তথ্য জানান তিনি।তবে সরকার যদি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিপি) যদি সরাসরি সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি তেল আমদানির সুযোগ দেয় তাহলে এই দাম নাও বাড়তে পারে।
কবে নাগাদ এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, এটা নির্ভর করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ওপর। সংস্থাটি এরই মধ্যে গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে। এই শুনানির ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তার ভিত্তিতে দাম বৃদ্ধির তারিখ চূড়ান্ত হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে। নসরুল হামিদ এসময় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সারাদেশ বিদ্যুত সুবিধার আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
পৃথক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এবারের ঈদে বিদ্যুত পরিস্থিতি ভালো ছিল। তবে মেঘনায় যে টাওয়ার ভেঙে পড়েছে সেটা এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি। এই টাওয়ারটি ভেঙে পড়ার কারণে কয়েকটি জেলায় ঈদের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। তবে অচিরেই এটি ঠিক হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সরকার আগামী এক বছরের মধ্যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার সেলের ডিজি মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ