ব্যাসেল–৩ বাস্তবায়নের ব্যর্থ তালিকাভুক্ত ৬ ব্যাংক

bbনিজস্ব প্রতিবেদক :

ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত মূলধন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকারি-বেসরকারি ১৩ ব্যাংক। তবে এদের মধ্যে রয়েছে ৬ টি রয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক। এগুলো হলো- রূপালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি, আইসিবি ইসলামিক, আইএফআইসি ও প্রিমিয়ার ব্যাংক।

রাষ্ট্রমালিকানাধীন অন্য ব্যাংকগুলো হলো সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও বেসিক, বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব)। এছাড়া এই তালিকায় বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্সের নাম রয়েছে।

ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে চলতি বছর থেকে ঝুঁকিভিত্তিক মোট সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। চলতি বছর থেকে ওই ১০ শতাংশের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও দশমিক ৬২৫ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ সময়ে ১৩ ব্যাংক উল্লেখিত পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি। নীতিমালা অনুযায়ী, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বলতে ব্যাংকের যেসব ঋণ ও সম্পদ মান খারাপ হয়ে গেছে, সেগুলোকে বোঝানো হয়েছে।

এদিকে, যে ১৩টি ব্যাংক মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী গত বলেন, চলতি বছর থেকেই এটা কার্যকর শুরু হয়েছে। ফলে এখনো সবাই হিসাবটা বুঝতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকগুলোকে আরও কিছু সময় দেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকগুলোর জন্য ব্যাসেল-৩ নীতিমালা কার্যকর হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের মোট সাড়ে ১২ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে কমন ইক্যুইটি টায়ার (মূলধন স্তর)-১ থেকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে অতিরিক্ত দশমিক ৬২৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অগ্রণী ব্যাংক করেছে দশমিক ১৯ শতাংশ, জনতা ব্যাংক করেছে দশমিক ১৩ শতাংশ, ঢাকা ব্যাংক দশমিক ২৭ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দশমিক ১১ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংক দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আর সোনালী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কমার্স, আইসিবি ইসলামিক, প্রিমিয়ার, বিকেবি ও রাকাব কোনো অতিরিক্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি।

ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা মার্চে এটা সংরক্ষণ করতে না পারলেও পরে পেরেছি। প্রথমবার হওয়ায় এটা পরিপালন সম্ভব হয়নি।

এদিকে ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা-ও রাখতে পারেনি ৮ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো হলো সোনালী, রূপালী, বেসিক, বিকেবি, রাকাব, কমার্স, প্রিমিয়ার ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ/এলকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *