বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে সোনা উধাও হয়ে যাওয়ার যে সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার বিকালে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সোনা কেলেঙ্কারির অভিযোগ সত্য নয়।
এরআগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সোনার নয়ছয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
প্রতিবেদনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে বরাত দিয়ে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট কাস্টম হাউসের গুদাম কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ গোলাকার কালো প্রলেপযুক্ত একটি সোনার চাকতি এবং একটি কালো প্রলেপযুক্ত সোনার রিং বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ওই চাকতি এবং আংটি যথাযথ ব্যক্তি দিয়ে পরীক্ষা করে ৮০ শতাংশ (১৯ দশমিক ২ ক্যারেট) বিশুদ্ধ সোনা হিসেবে গ্রহণ করে প্রত্যয়নপত্র দেয়। কিন্তু দুই বছর পর পরিদর্শক দল ওই চাকতি ও আংটি পরীক্ষা করে তাতে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ (১১ দশমিক ২ ক্যারেট) সোনা পায়। আংটিতে পায় ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ সোনা (৩ দশমিক ৬৩ ক্যারেট)। ধারণা করা হচ্ছে- ভল্টে রাখার পর এগুলো পাল্টে ফেলা হয়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, ভল্টে থাকা সোনার চাকতি এবং আংটি পরীক্ষার পর দেখা গেল এগুলো সোনার নয়, অন্য ধাতুর মিশ্রনে তৈরি। এতে সরকারের ১ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা ক্ষতি হয়েছে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/বি/জেড