মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারদের দ্বিতীয় দফায় ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত

bsecস্টকমার্কেট প্রতিবেদক :

শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তার উদ্দেশ্যে গঠিত ‘ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিল’ থেকে দ্বিতীয় দফায় ঋণ নিতে পারবে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলো। এজন্য তাদের ২০১৮ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি এ পর্যন্ত যারা তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা নেয়নি তাদের জন্যও সুযোগ থাকছে। গতকাল ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিল’সংক্রান্ত তদারকি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তদারকি কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, আজকের সভায় দ্বিতীয় দফায় ঋণ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তহবিল থেকে ঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করার মেয়াদ এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এটি আরো তিন মাস বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩১ মার্চ করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএসইসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্কালীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সহায়তা তহবিলের মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি, তহবিলের সুদহার হ্রাস করে ৬ শতাংশ নির্ধারণ, দ্বিতীয় মেয়াদে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজ এখনো পর্যন্ত তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা নেয়নি তাদের অগ্রাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত একমাত্র ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ ছাড়া আর কেউই আবেদন করেনি। তাই এখন দ্বিতীয় দফায় ঋণ নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান যারা প্রথম দফার ঋণ পুরোপুরি শোধ করেছে তাদের অর্থ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ আইপিও কোটার মেয়াদ বাড়াতে আবারো অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হবে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিলের মেয়াদ বাড়ানোর পর দ্বিতীয় দফায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ৮২ কোটি টাকার ঋণসহায়তা নিতে আবেদন করে। এর মধ্যে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট ৫৬ কোটি, এফএএস ক্যাপিটাল ১২ কোটি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং (আইএল) ক্যাপিটাল ৪ কোটি ৫২ লাখ, গ্রীনল্যান্ড ইকুইটি ১ কোটি ১০ লাখ ও বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার ঋণসহায়তা নিতে আগ্রহী।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *