মুরগি-ডিমের বাজারে আগুন, চড়া আটা-রসুনের দাম

স্টকমার্কেটবিডি প্রতিবেদক :

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ব্রয়লার (পোল্ট্রি) মুরগি ও ডিমের দাম। কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা। পাশাপাশি হালিতে ৩-৪ টাকা বেড়ে ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪১ টাকা। এছাড়া সাতদিনের ব্যবধানে আটা, পাম অয়েল, আদা-রসুন ও দারুচিনি বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এ দিন সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। টিসিবি বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুরগির দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। এছাড়া গত বছর একই সময়ের তুলনায় বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ৩৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি হালি ডিম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাসের ব্যবধানে ও গত বছর একই সময়ের তুলনায় বিক্রি হচ্ছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর নয়াবাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

নয়াবাজারের মুরগি বিক্রেতা রিয়াকদ আলী বলেন, পাইকারি বাজারেই মুরগির দাম বেশি। তাছাড়া খামার পর্যায় থেকে মুরগির দাম বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে সব পর্যায়ে দাম বেড়েছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে রংপুরের প্রান্তিক খামারি মো. সালাউদ্দিন বলেন, কয়েক দিন ধরে ব্রয়লার মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। যেখানে বস্তাপ্রতি ৭০০ টাকা খরচ হতো, সেখানে ৯০০-১০০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। তাই লালনপালন খরচ বেড়েছে। সেই খরচ ওঠাতে খামার থেকেই মুরগি বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। যে কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম কিছুটা বেড়েছে। তিনি জানান, শুধু ব্রয়লার মুরগির দাম নয়, দেশি মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে। বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সরবরাহ কমেছে। ফলে দাম স্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খুচরা বাজারের ডিম কিক্রেতা মো. ইকবাল বলেন, সরবরাহ কমায় ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। সপ্তাহ আগে প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি করেছি ৩৭-৩৮ টাকা, যা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৪০-৪১ টাকা। একই ডিম মাসখানেক আগে বিক্রি করেছি ৩৫-৩৬ টাকা।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. মাসুম বলেন, বাজারে কয়েকদিন ধরে মুরগি ও ডিমের দাম অস্বাভাবিভাবে বাড়ছে। বিক্রেতারা সরবরাহ সংকটের অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু বাজারে এসব পণ্যের কোনো ধরনের সংকট নেই। সব তাদের কারসা সূত্র : অনলাইন পোর্টাল

স্টকমার্কেটবিডি.কম/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *