মূলধন সংরক্ষনে ব্যর্থ আইসিবি ইসলামী ও কমার্স ব্যাংক

bankনিজস্ব প্রতিবেদক :

দশ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতার বিপরীতে মূলধন সংরক্ষনে ব্যর্থ দুই বেসরকারী ব্যাংক আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক লিমিটেড। তবে এর বিপরীতে ১১ শতাংশের বেশি মূলধন রাখতে সক্ষম হয়েছে ৪২টি ব্যাংক। শুধু সরকারি মালিকানার ৭টি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত সেপ্টেম্বরভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ১৪ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে সরকারি মালিকানার ৭ ব্যাংকে। সবচেয়ে বেশি ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ব্যাংকটির ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। এর বাইরে বেসিকে ২ হাজার ৪২৪ কোটি, সোনালীতে ২ হাজার ২৭৪ কোটি, রূপালীতে এক হাজার ৩৬৯ কোটি, জনতায় ৭৭১ কোটি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ৭২৬ কোটি এবং অগ্রণীতে ১১২ কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামীতে এক হাজার ৪৪৪ কোটি এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ৩০৩ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে।

আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ বা চারশ’ কোটি টাকা এর মধ্যে যেটি বেশি সে হারে মূলধন রাখতে হয়। তবে এ বছর থেকে প্রতিটি ব্যাংককে আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় (কনজারভেশন বাফার) হিসেবে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে ২০১৯ সালে মূলধন সাড়ে ১২ শতাংশে উন্নীত করার কথা রয়েছে। আর এ জন্য ডিসেম্বর ভিত্তিতে প্রতিটি ব্যাংককে অতিরিক্তি হিসেবে শূন্য দশমিক ৬২৫ শতাংশ হারে মূলধন রাখতে হবে। আগামী বছর ১০ শতাংশের ওপরে এক দশমিক ২৫, তার পরের বছর এক দশমিক ৮৭ এবং ২০১৯ সালে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সংরক্ষণ করতে হবে।

দেশের ৫৬টি ব্যাংকে ৭৮ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা মূলধন রাখার প্রয়োজন ছিল। কয়েকটি ব্যাংকের ঘাটতির কারণে পুরো ব্যাংক খাতে সংরক্ষণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৭ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে বিদেশি ব্যাংকগুলোতে ৬ হাজার ২০৮ কোটি টাকা মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজনের বিপরীতে রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা। এতে সংরক্ষেণের হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ। একই সময়ে সরকারি মালিকানার বিডিবিএল, বেসরকারি খাতের এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড, মধুমতি, মেঘনা ও মিডল্যান্ড ব্যাংকে ২০ শতাংশের বেশি মূলধন রয়েছে। আর সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্সে রয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে বেসরকারি খাতের আল-আরাফাহ, ইস্টার্ন ও এনআরবি কমার্শিয়ালে ১৪ শতাংশের বেশি মূলধন রয়েছে। এ সময় ১৩ শতাংশের বেশি আছে ডাচ্-বাংলা, উত্তরা ও এনআরবি গ্গ্নোবাল ব্যাংকে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের শাহ্জালাল ইসলামী, প্রাইম, ব্র্যাক, ঢাকা, মার্কেন্টাইল, ন্যাশনাল ও ইউনিয়ন ব্যাংকে রয়েছে ১২ শতাংশের ওপরে। এ ছাড়া ১১ শতাংশের ওপরে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া, দ্য সিটি, এক্সিম, ইসলামী, আইএফআইসি, যমুনা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনসিসি, ওয়ান, পূবালী, সাউথইস্ট, স্ট্যান্ডার্ড, ট্রাস্ট ও ইউসিবিএলের। আর ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে এবি, ফারমার্স, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, প্রিমিয়ার ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/এমএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *