যুক্তরাষ্ট্রের চাপে তেল উৎপাদন বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সৌদি আরব। তেলের মূল্য পতনের প্রেক্ষিতে ‘অর্গানাইজেশন অব পেট্রলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিসের’ (ওপেকে) আসন্ন সভায় তেল উৎপাদন কমানোর প্রস্তাব উঠতে পারে এমন আশঙ্কায় চাপ বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জামাল খাশোগির হত্যার মতো ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে থাকা সৌদি আরবও চাইছে না যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের সাথে তেলের মূল্য নিয়ে ধর কষাকষি করতে। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট তেলের দাম কমিয়ে রাখার স্বার্থে তেল উত্তোলন ঠিক রাখারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
রয়টার্সে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সৌদি আরব বর্তমানে দিনে এক কোটি ১১ লাখ থেকে এক কোটি ১৩ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করছে। তবে নভেম্বর শেষ না হলে বলা যাবে না যে ঠিক কি পরিমাণ তেল উৎপাদন করছে সৌদি আরব। ইরানের তেল রপ্তানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হওয়ার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের যোগান কমে যাবে এবং মূল্য বেড়ে যাবে এমন আশঙ্কা থেকে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছিল সৌদি আরব। কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র প্রতিবেদন সূত্রে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ ফালিহ বলেছেন, তেলের উৎপাদন যে হারে চলছে তাতে আগামী বছর নাগাদ চাহিদার চেয়ে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল বেশি তেল উৎপাদিত হবে।
এদিকে, ট্রাম্প সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, আশা করা যায় সৌদি আরব এবং ওপেক তেল উত্তোলন কমাবে না। সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে তেলের দামও অনেক বেশি কমিয়ে রাখতে হবে।
স্টকমার্কেটবিডি.কম/এ