রকিবুর রহমানের আট পৃষ্ঠার লিখিত জবানবন্দি

tribunal-picনিজস্ব প্রতিবেদক :

চিটাগং সিমেন্টের (বর্তমান হাইডেলবার্গ সিমেন্ট) শেয়ার কেলেঙ্কারির মামলার আসামি আবু তৈয়বের পক্ষে লিখিত ও বুলবুলের পক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করবেন শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। আজ রবিবার মামলার আসামি মো. রকিবুর রহমানের আট পৃষ্ঠার লিখিত জবানবন্দি শোনেন আদালত। মামলার আরো দু্ই আসামির জবানবন্দি নিতে ১৪ অক্টোবর বুধবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হুমায়ুন কবির।

আসামি আবু তৈয়ব অসুস্থ থাকায় আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি জানান, তাঁর নিযুক্ত আইনজীবীর মাধ্যমে ৩৪২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আদালত। জবানবন্দির একটি লিখিত কপি ১৪ অক্টোবর জমার নির্দেশ দিয়েছেন্ সেই সাথে আরেক আসামি বুলবুলের পক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যও গ্রহণ করবে আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ১৯৯৬ সালে চিটাগং সিমেন্টের পরিচালক ছিলেন। ভারতীয় ও ইরানি বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনবে বলে আসামিরা মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছড়িয়ে শেয়ারদর প্রভাবিত করেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে চিটাগং সিমেন্টের পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এরপর কোম্পানির একজন পরিচালক বড় অঙ্কের শেয়ার হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

এ ছাড়া বিএসইসির নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রকিবুর রহমান ও এ এস শহিদুল হক বুলবুল পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। এটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ১৭ ধারা অনুসারে অনিয়ম।

কারসাজি তদন্তে ১৯৯৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিন মাস পর ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ তদন্ত কমিটি সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে আসে। আর এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১৯৯৭ সালের ৪ মে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা করে বিএসইসি।

মামলাটি পরবর্তীকালে বিচারের জন্য প্রথম অতিরিক্ত দায়রা আদালত ঢাকায় বদলি করা হয়। এই আদালতে থাকাকালে মামলাটির বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। পরবর্তীকালে মামলার আদালত পরিবর্তনের নির্দেশ এলে বাদীপক্ষের সম্মতিতে নিম্ন আদালতের আদেশের ওপর স্থগিত আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর বিএসইসির ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মামলাটি এই আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

স্টকমার্কেটবিডি.কম/জহির/বিএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *